কলকাতা: শপথে আসন-বিতর্ক তুলে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের শপথে গরহাজির বিরোধী দলনেতা। এদিন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি একটি ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটেই বসার জায়গা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লেখেন, ‘বিজেপি ত্যাগী দুই বিধায়কের পাশে কেন আসন? তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে কেন আসন?’ প্রশ্ন তুলে শপথ অনুষ্ঠানে থাকলেন না শুভেন্দু অধিকারী। 






রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু অধিকারী। আসন-বিতর্কের অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না বিরোধী দলনেতা। বিজেপিত্যাগী, তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে কেন তাঁর আসন? এই প্রশ্ন তুলে শপথ অনুষ্ঠানে থাকলেন না শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। উজ্জ্বলদা এর আগে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা-কে ট্যাগ করে শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের নির্দেশে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর শপথ অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা করে অভব্য আচরণের পরিচয় দিয়েছে। বিরোধী দলনেতার আসন কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। যাঁরা বিজেপির টিকিটে জিতেও তৃণমূলের সঙ্গে। দলত্যাগবিরোধী আইনে ওই দু’জনের বিধায়ক পদ খারিজের প্রক্রিয়া চলছে। সেই কারণেই রাজ্যপালের শপথ গ্রহণে অনুপস্থিত, ট্যুইটে লেখেন শুভেন্দু অধিকারী।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে শপথ নিলেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। উপস্থিত রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী শাসদলের একাধিক সাংসদ। 


কিন্তু রাজভভনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একমঞ্চে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে। সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী। নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও উঠল রাজনীতির অভিযোগ!


রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা। নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে কি একসঙ্গে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে? 
বুধবার সকাল থেকে যখন চারিদিকে এ নিয়ে জল্পনা চলছে, তখন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের খানিক আগেই এই ছবিটি ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা। তার ওপরে লেখা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’। ছবিতে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কতগুলি ফাঁকা চেয়ার দেখা যাচ্ছে। তাতে মার্ক করা একেবারে বাঁ-দিকের চেয়ারের গায়ে লেখা রয়েছে মাননীয় বিরোধী দলনেতা। তাঁর পাশের দুটি চেয়ারে নাম রয়েছে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্‍ দাসও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর। 


এই দুই বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট করা ছবিতে লেখা রয়েছে, বিরোধী দলনেতাকে কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ও বিশ্বজিত্‍ দাসের পাশে বসতে দেওয়া হয়েছে। এই দু’জনেই (কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ও বিশ্বজিত্‍ দাস) বিজেপির প্রতীকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হলেও, তাঁরা তৃণমূলের প্রতি তাঁদের আনুগত্য দেখিয়েছেন।দু’জনের বিধায়কপদ খারিজের প্রক্রিয়া চলছে। এদিন রাজভবনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও যাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। 


তৃণমূলের জবাব এদিন শপথ নেওয়ার পর সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী ও সাংসদরা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। অন্যদিকে, শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও, পরে রাজভভনে গিয়ে নতুন রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন বিরোধী দলনেতা।