আবির দত্ত, কলকাতা: ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation) নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যে (West Bengal)। এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮১। শুধু কলকাতা নয়, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বহু জেলার পরিসংখ্যানও। এই প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু অধিকারীর বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম।
এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। স্মারকলিপি দিতে বাধা দিলে পুলিশকে ধমক দেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একসময় নিজেই প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন শুভেন্দু। পরে নিজেদের আনা গাড়িতে বিজেপি বিধায়করা স্বাস্থ্য ভবন ছেড়ে চলে যান। অশান্তি এড়াতেই গেট আটকানো হয় বলে পুলিশের দাবি।
শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। এরপরেও বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেয়নি। কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ কোটি টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন। সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আঁটকাতে পারে?'
আরও পড়ুন, ফের আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর এক অতিমারী? Disease X-থাবায় কোটি কোটি প্রাণহানির আশঙ্কা
এদিকে, হাওড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গি রুখতে জরুরি বৈঠকে বসেছে হাওড়া পুরসভা। এর মধ্যেই জমা জলে ডেঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা হাওড়াবাসীর। সালকিয়ায় বেনারস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, বর্ষা যাই-যাই করলেও, মাসখানেক ধরে জল জমে রয়েছে সীতানাথ বসু লেনে। নোংরা জলে বাড়ছে মশা-মাছি। রাস্তা অবরোধের জেরে তৈরি হয় যানজট। মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ ও হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের আশ্বাসে একঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান
২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮১। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। দক্ষিণবঙ্গের ২০টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৩৫ হাজার।