কলকাতা : যাত্রাপথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে এবার একাধিক প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari )।


'জাতীয় সড়কেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা'


ট্যুইটার হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা প্রথমেই প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা পুলিশ কতটা ছেলেমানুষ। কেন এই লুকোচুরি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি অভিযোগ করেন, এখন তাঁর কনভয়ের গতি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমনকি জাতীয় সড়কেও তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  স্পিড ক্যামেরা বা ডিটেকশন ডিভাইস নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তবে তাঁর প্রশ্ন, বিরোধী দলনেতার কনভয় চলে যাওয়ার পরই কেন তা লুকিয়ে ফেলা বা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে?


বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, তাঁর কনভয়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ফাঁদে ফেলার জন্যই কি বিজ্ঞপ্তিকে আড়াল করে রাখা হয়েছিল? কারণ তাঁর কনভয় সাধারণ গতি সীমা মেনে চলছিল। সেই কারণেই কি শনাক্তকরণ যন্ত্রটি লুকিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে আদালতে বিজ্ঞপ্তিগুলি দেখিয়ে বলা যায় যে তিনি কীভাবে ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করছেন?


যাত্রাপথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ কেন


পাশাপাশি তাঁর যাত্রাপথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লিখেছেন, রাজ্য জুড়ে আমার যাত্রাপথে কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাদাপোশাকে মোতায়েন করা হচ্ছে? গতিবিধি নজরে রাখার জন্য? কেন সিভিক ভলান্টিয়াররা মোবাইল ফোনে কনভয়ের গতিবিধি রেকর্ড করছেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর।


             






প্রসঙ্গত, চৌঠা মে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায়, শেখ ইশরাফিল খান নামে এক ব্য়ক্তির মৃত্য়ু হয় বলে অভিযোগ। এরপর দিন, চণ্ডীপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, বীরবাহা হাঁসদারা। চণ্ডীপুর থানায় দায়ের করা হয় এফআইআর। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় CID। এর পরই, ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার। রাজ্য়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, মাঝে মধ্য়েই পাইলট কারকে অতিক্রম করে চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, ২৫ বছরের পুরনো পাইলট কার দেওয়া হলে কী করব?