কলকাতা: রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে। জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি মোটে ভাল নয়। এভাবে চলতে পারে না। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে প্রত্যাশা আরও বেশি বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, শুধু রিপোর্ট দিলে হবে না। ‘অ্যাকশন’ নিতে হবে। (Suvendu Adhikari)

Continues below advertisement

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যকে নিয়ে রিপোর্ট দেন। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় হয়েছে বলে জানান। কিন্তু শুভেন্দুর মতে, শুধু রিপোর্ট দিলে হবে না। রাজ্যবাসীর আবেগ বুঝতে হবে রাজ্যপালকে। সেই মতো পদক্ষেপ করতে হবে। (CV Ananda Bose)

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। রাজ্যে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন থেকে রাজ্যপালের রিপোর্ট, সব নিয়েই নিজের মতামত জানান। শুভেন্দু বলেন, “জানুয়ারি মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত  হয়। SIR করতে গিয়ে এবার তা আগে-পরে হতে পারে। BLO-দের কাজের পরিবেশ কতটা সুষ্ঠ রাখবে রাজ্য সরকার ও কতটা তাদের কাজ করতে দেবে শাসকদল, তার উপর নির্ভর করছে চূড়ান্ত তালিকা বেরনোর দিন।”

Continues below advertisement

শুভেন্দু আরও বলেন, “ বিহারের মতো প্রথমে খসড়া তালিকা বেরোবে। আপত্তির জন্য আরও ১৫-৩০ দিন থাকে। এর পর চূড়ান্ত তালিকা বেরোয়। চূড়ান্ত তালিকা বেরনোর পর যে কোনও দিন কমিশন, বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ছ'মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে যদি চূড়ান্ত তালিকা না বেরোয়, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে যদি না প্রকাশ করা হয় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যদি ২৫ এপ্রিলের মধ্যে শেষ না হয়, সেক্ষেত্রে ৫ তারিখ থেকে আপনাআপনিই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাবে। অর্থাৎ রাজ্যপালের হাতে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা চলবে। এটাই নিয়ম এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে। বাকি কাজটা আমার নয়, রাজনৈতিক দলের নয়, কমিশনের। তাই SIR হওয়ার পর দু'মাস, ছ'মাসের গল্প নেই।”

রাজ্যপালের রিপোর্ট নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমাদের রাজ্যপাল অত্যন্ত সংবেদনশীল। দ্রুত সর্বত্র পৌঁছে যান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওয়ার রুম খোলেন। কর্তব্য পালন করছেন উনি। কিন্তু বাংলার মানুষ যা চাইছেন, তা ওঁর কাছে পৌঁছে দিতে চাই।উনি প্রোটোকল মানুুন, রিপোর্ট দিন। কিন্তু দৃশ্যমান অ্যাকসন চাইছেন মানুষ, যা চোখে দেখা যায়। এটা মানুষের আবেগ। দলমত নির্বিশেষে  সকলেই চাইছেন।” 

রাজ্যপাল যদিও গতকাল জানান, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে বাংলায় যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা খোলসা করেননি রাজ্যপাল