Suvendu Adhikari:রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং-এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎভবনে স্মারকলিপি জমা শুভেন্দু অধিকারীর

Bidyut Bhaban:রাজ্যজুড়ে টানা লোডশেডিং-এর অভিযোগ। আচমকা বিদ্যুৎভবনে বিরোধী দলনেতা। রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং-এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎভবনে স্মারকলিপি জমা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Continues below advertisement

কলকাতা: রাজ্যজুড়ে টানা লোডশেডিং-এর (Load Shedding) অভিযোগ। আচমকা বিদ্যুৎভবনে বিরোধী দলনেতা। রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং-এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎভবনে স্মারকলিপি জমা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপর উন্নয়ন ভবনেও যান শুভেন্দু অধিকারী। পাশে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) ও চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ (Bankim Ghosh)।

Continues below advertisement

প্রেক্ষাপট...
তীব্র তাপে পুড়ছে বাংলা। মাঝেমধ্যে সাময়িক বৃষ্টি-ঝড়ে রেয়াত মিললেও বাকি সময়টা পাখার হাওয়াতেও শুকোতে চাইছে না ঘাম। এসি চালিয়ে, যে একটু জিরোবেন, তারও উপায় নেই। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো,জ্বালাপোড়া গরমের মধ্য়ে কলকাতার লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। ফ্য়ান ছাড়া যেখানে এক সেকেন্ডও থাকা যাচ্ছে না, সেখানে শুরু হয়েছে চরম বিদ্য়ুৎ ভোগান্তি। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত মাসে, CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, CESC-কে বিদ্য়ুৎমন্ত্রীর নির্দেশ দেন,পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে। কিন্তু দিনতিনেক আগে একই সঙ্গে অরূপ জানান, সাধারণ মানুষ, লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন না। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে চাহিদা মতো লোড বাড়ানোর আর্জিও জানান তিনি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। বেলা বাড়তেই রোদের প্রখর তেজ। বাইরে বেরোনোই দায়। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকাও কার্যত অভিশাপ হয়ে উঠছে। নেপথ্যে লোডশেডিং। জেরবার অবস্থা সাধরণ মানুষের। এর আগেও এই ঘটনার জন্য সাধারণ মানুষের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছিলেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, লোড না বাড়িয়ে এসি, ফ্রিজ চালানোর জন্যই খারাপ হচ্ছে ট্রান্সফর্মার। 

বিক্ষোভ হয়েছে মেয়রের বাড়ির সামনে...
গত মাসে প্রবল গরমে বিদ্যুৎহীন এলাকা হওয়ায় মেয়রের বাড়ির অদূরে রাস্তায় বসে চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, CESC-কে জানানোর পরেও, ৫ ঘণ্টা ধরে আলো-পাখাহীন অবস্থায় কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে চেতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশের আশ্বাসে রাত ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। তখনও বিদ্যুৎ আসেনি। তার পর আবার এই ভোগান্তির জন্য সাধারণ মানুষকেই পরোক্ষে দায়ী করেন অরূপ বিশ্বাস। এবার রাজ্যজুড়ে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিদ্যুৎভবনে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু। 

আরও পড়ুন:সুস্থ শরীরে আয়ু বৃদ্ধি করতে চান? পাতে রাখুন এই খাবার

  

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola