কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : "সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, এসএলএসটি, গ্রুপ ডি, আপার প্রাইমারি-সহ সবাইকে অনুরোধ করব, একেবারে একজোট হয়ে একদিন নবান্ন চলুন। লক্ষাধিক লোক নিয়ে নবান্নে চলুন। হিসাব কষতে হবে নবান্নের গেটে দাঁড়িয়ে।" গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল (Group D Job Seekers Rally) থেকে এমনই হুঙ্কার ছাড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর সঙ্গেই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi)। সেই কংগ্রেস নেতা যিনি দিনকয়েক আগেই বলেছিলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার কাছে অচ্ছুৎ নন।' কৌস্তভের এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনাও শুরু হয়। যদিও এনিয়ে আজ কৌস্তভ নিজের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন, পাশাপাশি এপ্রসঙ্গে শুভেন্দুও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। 


চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু অধরাই থেকে গেছে তাঁদের দাবি-দাওয়া। এই পরিস্থিতিতে এবার, অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে, বুধবার, ক্য়ামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অফিসের সামনে দিয়ে মিছিলে হাঁটলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতে সামিল হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও। শুভেন্দু বলেন,  "এঁরা আমার উপস্থিতি চেয়েছিলেন, আমি ওঁদের সঙ্গে হেঁটেছি। আইনি লড়াইয়ে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেব, সিনিয়র আইনজীবী দেব। আরও বড় লড়াইয়ে থাকব। আপনাদের মাধ্যমে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, এসএলএসটি, গ্রুপ ডি, আপার প্রাইমারি-সহ সবাইকে অনুরোধ করব, একেবারে একজোট হয়ে একদিন নবান্ন চলুন। লক্ষাধিক লোক নিয়ে নবান্নে চলুন। হিসাব কষতে হবে নবান্নের গেটে দাঁড়িয়ে।"


একসঙ্গে কৌস্তভ ও তাঁর হাঁটা নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "উনি (কৌস্তভ বাগচী) আইনি লড়াইয়ে এঁদের সাহায্য করেছেন। আমি তো আগেও বলেছি, ওঁর কী রাজনীতি আছে তা আমার জানার দরকার নেই। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মানুষ লড়ছেন। তার মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। অনেক সোশাল ইউটিউবার, অনেক ফ্রিল্যান্সার লড়ছেন। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, পুলিশকর্মী লড়ছেন। অনেক অবসরপ্রাপ্ত বিচার বিশারদ লড়ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে গেলে, যাঁরা মনে করেন এই পরিত্রাণ দেওয়া দরকার, তাঁদের রাস্তায় নামতে হবে।"


একই প্রসঙ্গে কৌস্তভ বলেন, "না উঠছে কংগ্রেস জিন্দাবাদ স্লোগান, না উঠছে বিজেপি জিন্দাবাদ স্লোগান। নিশ্চিতভাবে, যদি এখানে বিজেপির পতাকা থাকত তাহলে আমি আসতাম না, কংগ্রেসের পতাকা থাকলে শুভেন্দু অধিকারী আসতেন না। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, দাবিটা অরাজনৈতিক এবং ন্যায্য দাবি। বেকার ছেলে-মেয়েগুলোর তাগিদে আমাদের এখানে আসা। এগুলোর কিছুর প্রয়োজন পড়ত না, সরকার বলে দিকে চাকরি দিয়ে দেবে। সরকারের তরফেও কেউ যদি মিছিলে এসে হাঁটে এবং বলে চাকরি দিয়ে দেবে আমি তাতেও খুশি।"