উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, শুভেন্দু ভট্টাচার্য,, কলকাতা : সারদা ( Saradha Chit Fund ) চিটফান্ড কেলেঙ্কারির 'সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । সেই কারণেই কি তাঁর বিরুদ্ধে CBI পদক্ষেপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত? ৮টি বিরোধী দলের পাল্টা, এবার প্রধানমন্ত্রীকে ( PM Modi ) চিঠি লিখে এই অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) । নারদকাণ্ডে তাঁকে কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে? পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
প্রায় এক দশক কাটতে চললেও, সারদাকাণ্ডে এখনও তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেনি CBI.
প্রতারিত আমানতকারীরা কবে টাকা ফেরত পাবেন সেই উত্তর নেই কারও কাছে। শুধু রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছে এখনও।
চিঠির পাল্টা চিঠি, বঙ্গ রাজনীতিতে ফের পত্র-যুদ্ধ ! কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল-সহ ৮টি বিরোধী দল। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে ED, CBI-এর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী !
যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারদাকাণ্ডের 'সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী' বলে দাবি করে, CBI'এর পদক্ষেপে দ্বিধাবোধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ' সারদা থেকে বড় কেলেঙ্কারি সাম্প্রতিককালে হয়নি। আর এই কেলেঙ্কারির আসল মুখ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সিবিআই তাকে জেরা করবে না এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি পাঠিয়েছি। ' বলেন শুভেন্দু।
নারদ-প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা খোঁচা দেয় তৃণমূল। ফের একবার কুণাল ঘোষ তুললেন সেই প্রসঙ্গ। ' নারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত, ওকে গ্রেফতার করেনি কেন? ছেড়ে রেখেছে কেন? '
শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, 'আচ্ছা নারদার টাকা ওর কাছে নেই? সারদার টাকাও তো নিয়েছে, যে কারণে ওকে ডেকে পাঠিয়েছিল CBI. আগে একটা নৈতিক জায়গায় পৌঁছক'
রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ৮টি বিরোধী দলের চিঠিতে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পাশাপাশি, শুভেন্দু অধিকারীর নাম টেনে লেখা হয়েছিল, নারদকাণ্ডে CBI ও ED-র স্ক্যানারে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এগোয়নি।
সোমবার নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী আবার লিখেছেন, ' যিনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন, এবং ক্ষমতার অপব্য়বহার করে, সারদাকাণ্ডের সবথেকে বড় সুবিধা ভোগ করেছেন, তাঁকে CBI খুঁজে বার করবে বলে প্রত্যাশা ছিল। সেই ব্য়ক্তি আর কেউ নন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এই কারণেই কি CBI দ্বিধাগ্রস্ত? নাকি চেয়ারের উচ্চতার জন্য় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপে অনীহা? '
সারদা নিয়ে এই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি কবে শেষ হবে, আদৌ কি শেষ হবে, নাকি বছরের পর বছর চলতে থাকবে রাজনৈতিক আকচাআকচি ?