অনির্বাণ বিশ্বাস ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: বকেয়া টাকা নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চিঠির পাল্টা হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলা আবাস যোজনার নাম, ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এ নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। 


মমতার পর মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির দু’দিনের মাথায়, পাল্টা হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার, কলকাতার টাউন হলে আমলাদের নিয়ে বৈঠকে সরব হন মমতা । সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কেন্দ্র টাকাই দেয় না। ১০০ দিনের কাজের টাকা ডিসেম্বর থেকে দেয়নি। ১০০ দিনের কাজ করেছে গরিব লোক। যেন মনে হচ্ছে নিজের টাকা দিচ্ছে। যে টাকাটা তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে ভাগ দেয় রাজ্যকে।"


সে দিনই বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। এর দু’দিনের মাথায় শনিবার, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু। তিন পাতার চিঠিতে তিনি লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩২ লাখ বাড়ি হয়েছে। অথচ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় টাকা দেওয়ার পরেও, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একটিও প্রশংসাসূচক শব্দ দেখা যায়নি। তারওপর কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে'। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু দাবি করেছেন, বাংলা আবাস যোজনার নাম অবিলম্বে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক। 


আরও পড়ুন: Bowbazar: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট বদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর। Bangla News


পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, '১০০ দিনের কাজ আদতে তৃণমূলের ছোট ও মাঝারি স্তরের নেতা-কর্মীদের অবৈধ আয়ের উৎস হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বেরিয়ে যায়, অথচ বাস্তবে কোনও কাজ হয় না'। 


রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর


এই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলার বিরোধী দলনেতা হয়ে কী করে একথা বলে, এরাজ্য থেকে পয়সা তুলে নিয়ে এত বড় বড় কথা কিসের!" বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, "যে টাকা কেন্দ্র পাঠিয়েছে তা সমানভাবে বণ্টন করা হচ্ছে না কেন?"