কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখনও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। বেছে বেছে বিজেপি ক্রমীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির। সেই নিয়ে এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্ত্রস্ত এলাকায় গিয়া রাজ্যপালকে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে আর্জি জানালেন শুভেন্দু।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, 'ভোটের ফল বেরনোর পর বিজেপি-র কার্যকর্তাদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরমনোর পরও বিজেপি কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে'।
শুভেন্দুর দাবি, যে গুন্ডারা বিজেপি-র কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের সন্ত্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখতে আর্জি জানিয়েছেন তাঁকে। পরিস্থিতি বুঝে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যাতে পদক্ষেপ করেন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে, তার পর থেকে একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছে। কলকাতার নারকেলডাঙায় বিজেপি-র দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পাত্রসায়র, কোতুলপুর, বাঁকুড়া থেকেও অশান্তির খবর মিলেছে। বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁ জয়ী হওয়ার পর, সেখানেও বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে খবর। কোতুলপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ে বিজেপি-র এসএসসি মোর্চার নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়েও বিজেপি আক্রান্ত বলে অভিযোগ। সেখানে বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি-তে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। তবে ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি কৌশিক চন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আদালত মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। দুপুর ২টোয় সেই নিয়ে শুনানি রয়েছে।