আমতা: হাওড়া জেলার আমতায় বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় হাইকোর্টের অনুমতি। আমতা ফুটবল মাঠে বিরোধী দলনেতার সভায় কোর্টের অনুমতি মিলে গেল। দ্রুত সেঞ্চুরি হবে, দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। প্রথমে আমতায় জনসভার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে হাইকোর্টের অনুমতি মেলায় বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভাটি হচ্ছে। 

Continues below advertisement

সম্প্রতি বাবরি মসজিদ ইস্যুতে মুখ খুলে হুমায়ুন কবীরকে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে নিজের যুক্তিও ব্যাখ্যা করেন বিরোধী দলনেতা। এর পাশাপাশি নিশানা করলেন হুমায়ুন কবীরকে। তাঁর উদ্দেশে বললেন, "হুমায়ুন কবীরের ভাষা তো ঠিক মহম্মদ আলি জিন্নাদের মতো ভাষা বেরোচ্ছে।" গত ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড বিধায়ক

Continues below advertisement

শুভেন্দু বলেছিলেন, "ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের পার্টির সকলে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমিও বলেছি, নামকরণে আমাদের আপত্তি আছে। কিন্তু, এই যে সরকারি মদতে এক হাজার পুলিশ দিয়ে যে উল্লাসটা সংগঠিত করা হল, মোঘল-পাঠান-হানাদারদের নামে...বাবর একজন ধর্ষণকারী ছিলেন, লুঠেরা ছিলেন। তিনি ভারতের কেউ ছিলেন না। তিনি ভারত দখল করতে এসেছিলেন। ভারতের মন্দিরগুলো ভেঙে-গুঁড়িয়ে, আদিবাসীদের ধর্ম পরিবর্তন করতে এসেছিলেন। ভারত থেকে লুঠে নিয়ে ভারতের সোনা-হীরে-মণি-মাণিক্য সব আরবে নিয়ে চলে যেতে এসেছিলেন। তাঁর নামকরণে আমাদের প্রত্যেকের আপত্তি রয়েছে। আমাদের সেই আপত্তি আছে। কিন্তু, যে ধর্মীয় উন্মাদনা, পরোক্ষভাবে-প্রত্যক্ষভাবে পুলিশ-প্রশাসনের মদতে বিনা অনুমতিতে হয়েছে। টাটা সংগ্রহ হয়েছে। এটা একটি বাংলাদেশের মৌলবাদীদের যে আস্ফালন তার প্রভাব সীমান্তবর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুর্শিদাবাদে দেখানো হয়েছে। এটি প্রতীকী কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কোনও উদ্যোগ নয়। আমরা আবারও বলি, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদোয়ারা তৈরি করুন। বৈধভাবে করুন। নিজেদের জায়গায় করুন। নিজেদের সম্প্রদায়ের লোকেরা অর্থ জোগাড় করে করুন। কিন্তু, এই যে একটা আস্ফালন...বাবরের নামে করব, কিছু করতে পারবে না...আমরা করব, করে দেখাব। মাইক বাজাব, লক্ষ লোকের জমায়েত করব...অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই...। সরস্বতী পুজো যোগমায়া দেবী কলেজে করতে গেলে হাইকোর্টে যেতে হয় ছাত্রীকে। আমাকে দোলের দাহন করতে গেলে ভবানীপুরে রাতে ৯টার পর গিয়ে গলির মধ্যে করতে হয় হাইকোর্টের অর্ডারে, কলকাতা পুলিশের আপত্তিতে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একচোখ বন্ধ করে ওখানে এগুলোর অনুমতি দিলেন। এটা মৌলবাদীদের আস্ফালন। এবং টাকা গোনা বলুন, টাকা সংগ্রহ করা বলুন।"