সন্দীপ সরকার, কলকাতা : কখনও প্যাকেজের চেয়েও বেশি বিল! আবার কখনও যে চিকিত্‍সক চিকিত্‍সা করছেন, ছুটি দিচ্ছেন অপরজন! স্বাস্থ্য সাথী (Swastha Sathi) প্রকল্প ঘিরে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে এরকমই নানা অভিযোগ উঠল। যাকে ঘিরে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।


কী কী অভিযোগ


স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে বেনিয়ম রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন (Swastha Bhavan)।


স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে দাবি, কোথাও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথীর প্যাকেজের থেকে বেশি টাকা রোগীর থেকে নিয়েছে। আবার কোথাও বেসরকারি হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো বিলের সঙ্গে মিল নেই রোগীর প্রকৃত বিলের। চিকিত্‍সক রোগীকে একরকম প্যাকেজের কথা বলেছেন, আবার বেসরকারি হাসপাতালের তরফে সরকারকে অন্য ধরনের প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোগীর চিকিত্‍সা করছেন এক চিকিত্‍সক, কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছুটি দিচ্ছেন বা যাঁর নামে বিল হচ্ছে, তিনি অন্য চিকিত্‍সক (Doctor)।


কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের


এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে চিকিৎসা খরচ সরকারের থেকে পেতে হলে, হাসপাতালগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে রোগী কোন প্যাকেজের আওতায় পড়ছেন সেই প্যাকেজ ব্লকিং স্লিপ এবং ডিসচার্জ স্লিপ আপলোড করতে হবে সরকারি পোর্টালে (Government Portal)। স্লিপগুলিতে রোগীর সংশ্লিষ্ট চিকিত্‍সকের সই ও তারিখ থাকতে হবে। রোগী যে চিকিত্‍সকের আওতায় চিকিত্‍সাধীন ছিলেন, তাঁকেই ছুটির স্লিপে সই করতে হবে। অন্য চিকিত্‍সকের সই থাকলে টাকা দেওয়া হবে না। 


২২ অগাস্ট জারি করা এই নির্দেশিকা, জেলাশাসক, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।


মাস দুয়েক আগেই স্বাস্থ্য সাথী (Swsathaswati) কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীকে ফেরানোর ভুরিভুরি অভিযোগ ওঠার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। যার পরই কড়া পদক্ষেপ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swsatha sathi Card) সুবিধা ঠিক মতো মিলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে, হাসপাতাল, নার্সিংহোমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য গঠন করা হয় নজরদারি দল। 


ঠিক হয় কলকাতার পাশাপাশি সব জেলায়, হাসপাতাল, নার্সিংহোমে নজরদারি দল আচমকা পরিদর্শন করবে। মাসে ৬টি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম পরিদর্শন করতে হবে প্রতিটি নজরদারি দলকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। 


আরও পড়ুন-'এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? টিপন্নি বন্ধুদের' দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক জহর সরকার