সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকা রোগীর যে কোনও রকম প্রতিস্থাপনের জন্য অস্ত্রোপচার করার আগে নিতে হবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি। নতুন নির্দেশ কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। হাস্যকর সিদ্ধান্ত, প্রতিক্রিয়া চিকিৎসকদের একাংশের।


ওষুধ নিয়ে নির্দেশিকার পর আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে বিতর্কে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় কোনও রোগীর যে কোনও রকম প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিতে হবে।



নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, ইউরোলজি, ইএনটি-র বিভাগীয় প্রধানদের কাছে। অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকার বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিভিন্ন সরকারি চিকিৎসক সংগঠনগুলি। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক অংশুমান মিত্র বলেন, "হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় রোগী পড়ে। অনুমতি নিতে হবে। রোগী ততক্ষণ অপেক্ষায় থাকবে। এটা হাস্যকর।" 


অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "অপারেশনের আগে বিভাগীয় প্রধানরা জানতে চাইবেন বসানো হবে কি হবে না। যতক্ষণে সব কাজ হবে ততক্ষণ রোগী বাঁচবে তো?" যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ যাতে ঠিক মতো হয়। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই নির্দেশিকা।
 
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সুপার অর্ঘ্য মিত্র বলেন, "এর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ ৩দিনের ওষুধ, আউটডোরে আসা রোগীরা পাবেন সর্বোচ্চ ৭দিনের ওষুধ । এদিন ওষুধ নিয়ে জারি করা নির্দেশিকার প্রতিবাদ করে স্মারকলিপি জমা দেয় মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার। সেই নির্দেশিকা নিয়েও এদিন সাফাই দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।


সব মিলিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নতুন নতুন নির্দেশিকা ঘিরে দানা বাঁধেছে বিতর্ক।