ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : জেলায় জেলায় ট্যাব-প্রতারণার জাল। একের পর এক জেলা থেকে জমা পড়ছে অভিযোগ। কোথাও কোথাও একদল পড়ুয়া টাকা পাচ্ছেন না। কারও কারও অ্যাকাউন্টে আবার দুবার টাকা জমা পড়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারিতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে পাতা হয়েছে ট্যাবের টাকা হাতানোর জাল, তা জেনে কপালে চোখ ওঠার জোগাড়। আর এবার একই নামের অন্য পড়ুয়ার কাছে চলে গেল টাকা।অর্থাৎ নাম ভ্রান্তিতে এক পড়ুয়ার টাকা চলে গেল অন্য পড়ুয়ার কাছে। আর তারপর সেই টাকা উদ্ধার করে নিয়ে এল পুলিশ ! 


ট্যাবের টাকা ঢোকেনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, এমন অভিযোগ নতুন নয়। এবার বীরভূমের কীর্ণাহার বালিকা বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াঅভিযোগ জানায়, সে ট্যাব-এর টাকা পায়নি। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তার বরাদ্দ টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। দুই ছাত্রীর নামই চৈতালি হাজরা। নাম এক হওয়ায় এই বিভ্রাট ! 


কিন্তু আশ্চর্যের এখানেই শেষ নয়। যে ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে গিয়েছে সে অনেকদিন আগেই স্কুল ছেড়ে চলে গিয়েছে। এমনকী তার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু টাকা উদ্ধার তো করতে হবে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ সাহায্য চায় পুলিশের। জেলায় জেলায় যেভাবে ট্যাবের টাকা চুরির চক্র ধরা পড়ছে , তাতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ পৌঁছায় ওই প্রাক্তন ছাত্রীর বাড়ি। 


টাকা উদ্ধারও হয়। কিন্তু গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। যার অ্যকাউন্টে প্রথম টাকা ঢুকে ছিল সেই প্রাক্তন ছাত্রী চৈতালি হাজরার মা শিখা হাজরার অভিযোগ,  তাঁর মেয়ে ২০২১ সালেই স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু দিন পনেরো আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেকে পাঠায় এবং মেয়ের সব ডকুমেন্টস নেয়। তারপরেই মেয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। কিন্তু হঠাৎ করে স্কুল জানায় টাকা অন্য ছাত্রীর। কীর্ণাহার থানার পুলিশ নিয়ে এসে জোর করে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে টাকা তুলে নেয়। এমনকি স্কুল থেকে বলা হয় তাকে টাকা ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। এই ঘটনায় তাঁদের সম্মানহানি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন চৈতালির মা। 


এদিকে যার আসলে টাকা পাওয়ার কথা  সেই  চৈতালি হাজরা জানায়, দুই ছাত্রীর এক নাম হলেও বাবার নাম আলাদা। তার পরেও টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গেল কী ভাবে। স্কুল  কর্তৃপক্ষের ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ তাঁর। 


আরও পড়ুন : Online Shopping : অনলাইনে কেনা প্রোডাক্ট কোম্পানি ফেরত নিচ্ছে না ? কী করবেন