কলকাল: ১২ ঘণ্টা পরেও ট্যাংরার (Tangra) মেহের আলি লেনে জ্বলছে ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের কারখানা। বিধ্বংসী আগুনে সব ছারখার। ট্যাংরায় (Tangra) পুড়ে খাক গুদাম। গুদামের দেওয়ালে ফাটল। দমকল (Fire Brigade) জানিয়েছে, গুদামের দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। দমকলের প্রথমিক অনুমান গুদামের ওয়েল্ডিং কাজ চলছিল, সেখান থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে বিপত্তি।


এদিন আগুন নেভাতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ বেশকয়েকন দমকল কর্মী। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।  তাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানার বিপজ্জনক দেওয়াল ভেঙে ফেলা হবে। গতকাল সন্ধে ৬টা ১৫ নাগাদ ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের কারখানায় আগুন লাগে। 


জানা গিয়েছে ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ফ্লোর ম্যাট নষ্ট হয়েছে। পাঁচিল ভেঙে পড়ার আগেই আতঙ্কে বাড়ি ছাড়লেন বাসিন্দারা। গতকাল অগ্নিকাণ্ডের সময়ে একের পর এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হন স্থানীরা। দমকলের জল শেষ হয়ে যেতেই বালতি করে জল আনেন স্থানীয়রা। এটাই এগিয়ে বাংলা! ট্যাংরাকাণ্ডে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধীকারী। অস্তিত্বহীনের কথা গুরুত্বহীন, পাল্টা জবাব দেন সুজিত বসু। 


বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্যাংরার গুদাম। দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। অভিযোগ মানতে চাননি কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ। কীভাবে বসতি এলাকায় গুদাম তৈরি হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।


দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। গুদাম থেকে ছড়িয়ে পড়ল বসতির দিকে। গুদামের দেওয়ালে ধরল ফাটল। হাওয়ায় বাড়ল আগুনের তীব্রতা। শনিবার সন্ধ্যায় চোখের সামনে এভাবে ছাই হয়ে গেল ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম! স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলছিল কাজ। তারপরই গুদামে আগুন লাগে। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার বলার পরেও, দমকল অনেক দেরিতে আসে। এতটাই ঘিঞ্জি যে এলাকায় ঢুকতে হিমশিম খান দমকলকর্মীরা। 


অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে দিনের পর দিন চলছিল গুদাম? কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? রাতেই দমকলের তরফে দাবি করা হয়, গুদামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও বাসিন্দা আটকে নেই। ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাপ্রোচ রোড ।