কলকাতা : আগেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে ধরে রাখা কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেবেন যে আর রাজনীতি করতে চান না। বরানগরের তৃণমূল বিধায়কের ( TMC MLA ) এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়েছে।  আবারও ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করলেন তাপস রায় ( Tapas Roy ) ।  

প্রবীণ নেতাদের বার্তা
তিনি এবার বললেন , ‘বয়সের একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত’  প্রবীণ নেতাদের বার্তা তাপসের । তিনি আরও বলেন, ‘আমি নতুন প্রজন্মের কথা বলব, আর নিজে পদ আঁকড়ে থাকব হয় নাকি!’


মেঘ জমেছে বরানগরের বিধায়কের মনে?
রাজ্য  মন্ত্রিসভায় সাম্প্রতিক রদবদলের সময় তাপস রায় মন্ত্রী হতে পারেন, এমন জল্পনা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। পাশাপাশি, তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য একটি বিষয়ও। তাপস রায় ছিলেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। তাঁর জায়গায় সভাপতি হয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সবের জন্য কোথাও কি অভিমানের মেঘ জমেছে বরানগরের বিধায়কের মনে? বিধায়ক অবশ্য তা বলছেন না।  তিনি উল্টে বলেন, ' বার্তা দেওয়ার আমি কেউ নই।  সময়মতো না সরলে এরপর সিলেক্টরদের তোপে পড়তে হবে।' 


ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য
‘শিক্ষক দিবসে’র আগের দিন, শিক্ষকদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে, বর্তমান ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ও এখনকার ছাত্র-নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক ও বিধানসভায় তৃণমূলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। সেই মন্তব্য ভাইরাল হতেই তৈরি হয় বিতর্ক। তিনি বলেন, ' আমি তখন দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী, পাড়ার ছেলে, জেনারেল সেক্রেটারি, তাকে একটা চড় মারলেন প্রিন্সিপাল। আজকের দিনে ভাবতে পারেন, কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি, ছাত্র পরিষদের ইউনিয়ন, তার গালে একটা চড় দেবেন প্রিন্সিপাল...তারপর প্রিন্সিপাল বাড়ি ফিরে যাবেন? এটা আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলব যে, সেই শিক্ষকও নেই, সেই ছাত্রও নেই।...এরম গোছের একটা ছাত্র সমাজ হয়েছে। শিক্ষকরাও কিন্তু সেই আগের শিক্ষক নেই। সমাজের অবক্ষয় তো সর্বত্রই পৌঁছেছে। কিন্তু, যদি সমাজকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষক, ছাত্র, এদের মধ্যে বেশি মাত্রায় পৌঁছয়, সেটা কিন্তু সর্বনাশা সমাজের জন্য এবং দেশের জন্য।'