ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: তারাপীঠের (Tarapith) মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে দেশে ও বিদেশে। প্রতিদিনই ভক্তদের সমাগম লেগেই আছে মন্দিরে। নিত্য পুজোপাঠ তো হয়েই থাকে, তাছাড়াও শনি-মঙ্গলবার এবং বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এখানে। শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না। তারাপীঠের মন্দিরে (Tarapith Temple) সারা বছরই জনসমাগম হয়।
কৌশিকী অমাবস্যায় পুণ্যার্থীদের কথা ভেবে আগামী ১৩ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর সারাদিন সারারাত মন্দির খোলা থাকবে। ভক্তদের কথা ভেবে কৌশিকী আমাবস্যায় পর পর দুদিন সারারাত তারাপীঠে মায়ের মন্দির খোলা থাকবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি।
আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কৌশিকী অমাবস্যা। আর এই অমাবস্যায় তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। এই বছর ও প্রচুর ভক্তের সমাগম হবে। তাই পুণ্যার্থী কথা ভেবে আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর সারাদিন সারারাত মন্দির খোলা রাখা হবে, জানালেন মন্দির কমিটি সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
তারাপীঠ মন্দির নিয়ে নানা কথিত বিশ্বাস রয়েছে, আছে নানা কাহিনী। অনেকে বলেন এটি সতীপীঠ নয়, তা হল কঙ্কালীতলা। অনেকে বলে থাকেন, এখানে সতীর তৃতীয় নয়ন পতিত হয়েছিল। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম সেটি দেখে সতীকেই তারারূপে পুজো করেন।
মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।
এছাড়াও এখানে রয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। জানা যায়, এই মন্দিরেই পুজো করতেন বামক্ষ্যাপা। মন্দির লাগোয়া শ্মশানক্ষেত্রে বাবা কৈলাসপতি নামে এক তান্ত্রিকের কাছে তন্ত্রসাধনা করতেন তিনি। মা তারার আরাধনা এবং পুজোতেই বামাক্ষ্যাপা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারাপীঠ মন্দিরের কাছেই রয়েছে সেই আশ্রম।