বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়কের দলবদলের পর বঙ্গ বিজেপিকে নিশানা তথাগত রায়ের। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। 'আরও এক বিধায়ক বিজেপি ছাড়লেন, বঙ্গ বিজেপিতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের নোংরা পরিণতি। অবিলম্বে বিজেপির আদর্শগত ও সাংগঠনিক সংস্কার প্রয়োজন'। লোকসভা ভোটের আর ৬ মাস বাকি, সতর্ক হোন, শাহ-নাড্ডাকে ট্যাগ করে পোস্ট তথাগত রায়ের।
লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান বলে জানালেন হরকালী। আপদ বিদায় হল, মন্তব্য বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের।
উৎসবের মরশুমে জোরালো ধাক্কা খেল বঙ্গ বিজেপি! এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তাঁকে দলের উত্তরীয় পরিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তালডাংরার জগৎপুর সম্মিলনী হাইস্কুলের, ইতিহাসের শিক্ষক হরকালী প্রতিহার। ২০১৯-২০ সালে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ১১ হাজার ৭৮৫ ভোটে, তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন। এবার সেই তিনিই পদ্ম ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে, বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫। উপ নির্বাচনে দুই জায়গাতেই বিজেপি হারে। এরপর তৃণমূল অফিসে পৌঁছে যান কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূলে যোগ দেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণীও তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও বিজেপি ছাড়েন। আর এবার সেই তালিকায় যোগ হল বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের নাম।
এরই মধ্যে আবার ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল জিতেছে। সব মিলিয়ে সংখ্য়ার নিরিখে বিজেপির বিধায়ক সংখ্য়া ৭৭ থেকে কমে হল ৬৭। যদিও খাতায় কলমে এদের কেউই বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়েননি। এদিকে, যে বাঁকুড়া বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত,যে জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে, ২০২১-এ ৮টিতেই পদ্ম ফুঁটেছিল, সেখানেই এবার সংখ্যাটা তৃণমূলের সঙ্গে সমান সমান হয়ে দাঁড়াল।