সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ মন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) । এদিন ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায়, পরেশ অধিকারীকে ফের সিবিআই দফতরে (CBI) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পরেশ অধিকারী।
একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
এসএসসি-তে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তাঁর মেয়ের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের কাছে মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এরপর কলকাতার উদ্দেশে মঙ্গলবারই পদাতিক এক্সপ্রেসে ওঠেন সকন্যা মন্ত্রী। কিন্তু তারপর তারা কলকাতায় আসেননি ট্রেনে।
মাঝপথে তাঁরা ট্রেন থেকে নেমে যান সকন্যা মন্ত্রী
বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, H1 কামরার নম্বর C কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু মাঝপথে তাঁরা ট্রেন থেকে নেমে যান বলে ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্টের দাবি করেন। এই ঘটনার পর মন্ত্রীর সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এরপর এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী।
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ
অন্যদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার, সন্ধে ছটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ১২ এপ্রিল হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেবার ডিভিশন বেঞ্চ থেকে সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ আনা হয়। বুধবার, SSC’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বেঞ্চ তার সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে করে না ডিভিশন বেঞ্চ।