কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চান চাকরিহারারা (Teachers Protest)। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা চিঠি লিখলেন ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, চিঠি হাতে পাওয়ার পরই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আলোচনা চেয়ে ব্রাত্য়কে চিঠি: SSC যোগ্য়-অযোগ্য়দের আলাদা করতে পারেনি। ফলে চাকরি গিয়েছে SSC-র ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে এখন চলছে আন্দোলন। এই প্রেক্ষিতে ফের আলোচনায় বসতে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। চাকরিহারাদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের চিঠি হাতে পাওয়ার পরই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ক্লাসরুমের বদলে ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে জুটেছে পুলিশের লাঠিপেটা, তারপরেও আন্দোলনে অনড় চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা। দিন কাটছে বিকাশ ভবনের সামনে রাস্তায় বসে। রাতে মেট্রো স্টেশনের ছাউনির নীচে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। হকের চাকরি ফেরাতে এভাবেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনেক কষ্টে পাওয়া সরকারি চাকরি। দুর্নীতির জেরে সেই চাকরি চলে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে অনেকেরই। এই ভোগান্তির শেষ কোথায় জানেন না এই আন্দোলনকারীরা। এর মধ্য়েই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তভার গেল বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।
১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে জোটে মার, কেউ রক্তাক্ত হন, কারও চোখে আঘাত লাগে, কারও পা ভাঙে, উল্টে মার খাওয়া চাকরিহারাদের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। হাজিরা এড়ালে গ্রেফতারিরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এবার সেই মামলার তদন্তভার নিল বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগ। থানায় তলব করা হলেও, এখনও হাজিরা দেননি চাকরিহারা শিক্ষকরা। নিরস্ত্র শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কেন গোয়েন্দাদের হাতে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন চাকরিহারারা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, হুমকি, পুলিশকে মারধরের মতো ধারা দেওয়া হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে থানায়।সোমবার FIR কপি নিতে থানায় যান তাঁদের আইনজীবীরা।