শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার :  পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayet Poll ) । তার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাগযুদ্ধ। হুঁশিয়ারি , পাল্টা হুঁশিয়ারিতে হাওয়া গরম করছেন রাজনৈতিক নেতারা।  বিরোধীদের কড়া কথায় হুমকি দিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর  নাম বারবার উঠে আসে। এবারও পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে হুমকি-হুঁশিয়ারি অব্যাহত।


 দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি
এবার বিরোধীদের দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল (TMC)  জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ( Partha Pratim Roy )  ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ( Udayan Guha ) । শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের খাসতালুক দিনহাটার ভেটাগুড়িতে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে বেলাগাম তৃণমূল নেতা। বললেন, বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করলে দাঁত তুলে নেওয়া হবে। এভাবেই বেলাগাম ভাবে বিরোধীদের হুমকি দিলেন কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রসের প্রাক্তন সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।


দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি
অন্যদিকে পার্থর সুরেই বিরোধীদের হুমকি দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে সাঁড়াশি দিয়ে বিরোধীদের দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি দেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক। 


এই রকম ভাষায় আক্রমণ নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর জবাব, তৃণমূল নেতাদের টাকা লোপাটের অভিযোগে বেঁধে রাখা হচ্ছে, মানুষই এর জবাব দেবে! 

২০১৮ র পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে উদয়ন
এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন উদয়ন। তবে কিছুদিন আগে উদয়ন গত পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ' যেভাবে জয়ী হয়েছিলাম, আমাদের কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেনি। এর ফলে ১৯ -এর নির্বাচনে পরাস্ত হতে হয়েছে। এবার মানুষ নিজে ভোট দেবেন, যাকে পছন্দ হয়, সেই প্রার্থীকে ভোট দেবেন।' 


তবে ওই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে একেবারেই ভিন্ন সুরে কথা বলেন, আরেক তৃণমূল নেতা। উদয়ন গুহর পরই বক্তব্য রাখতে ওঠেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির কথা না মানলেও, ১৯-এর লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য মঞ্চে উপস্থিত দলেরই নেতাদের একাংশকে নিশানা করলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,  ' পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ কেউ আমাদের নির্দল প্রার্থী দিয়ে হারিয়েছে। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, যেখানে জয় নিশ্চিত ছিল, সেখানে কিছু লোক পিছন থেকে দলকে ছুরি মেরে হারিয়েছে, এবং তাঁরা আজ এই মঞ্চে আছেন।'