গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মনোনয়ন-পর্বের তৃতীয় দিনে কাকদ্বীপে উত্তেজনা। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে বিডিও অফিস চত্বরেই বাধা, নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানালেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। জয়েন্ট বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান কংগ্রেস প্রার্থী। পাশাপাশি, বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে বেআইনি জমায়েত হঠিয়ে দেয়।
আর কী?
এতেই শেষ নয়। কাকদ্বীপে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে লাঠি হাতে একজোট হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। কিন্তু অভিযোগ, রাস্তাতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিকে দিকে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী-নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে খবর। এদিনই যেমন হুগলির পাণ্ডুয়ায় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, দেখতে এদিন বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন লকেট। পুলিশ তাঁকে আটকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে বলে। বিডিও অফিসের সামনেই পুলিশের সামনে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন হুগলির সাংসদ। জোর করে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি সাংসদের। তৃণমূলের মদতে আটকাচ্ছে পুলিশ, অভিযোগ এমনই। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অশান্তি ছড়াতে এসেছিলেন লকেট। ১৪৪ ধারা ভাঙায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।
বর্ধমানে আক্রান্ত সিপিএম...
একই দিনে আবার মনোনয়ন ঘিরে তেতে ওঠে বর্ধমানের ২ নম্বর ব্লকের বড়শূল। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে, শক্তিগড় মোড়ের কাছে সিপিএম সমর্থকদের গাড়ি আটকে পুলিশের সামনেই চলে ইটবৃষ্টি। রাস্তার ধারে বাঁশ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। ইটের ঘায়ে আহত হন শক্তিগড় থানার ওসি-সহ তিন পুলিশ কর্মী। এক সিপিএম কর্মীর মাথা ফেটে যায়। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। লাঠি, বাঁশ নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যান সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরা। প্রতিবাদে পালসিটে রাস্তা অবরোধ করে সিপিএম। জামুড়িয়াতে আবার বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ডিসিআর কাটতে এসেছিলেন যে প্রার্থীরা, তাঁদের গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করে কাগজ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও শোনা যায় এদিন। মনোনয়ন কেন্দ্রে পুলিশ থাকলেও তারা দুষ্কৃৃতীদের বাধা দেয়নি বলে দাবি বিজেপির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন:সুস্থ শরীরে আয়ু বৃদ্ধি করতে চান? পাতে রাখুন এই খাবার