বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: মেখলিগঞ্জের (mekhligunj) পর নন্দীগ্রাম (nandigram)! কোথাও নথি পাচার, কোথাও আবার ফাইল লোপাটের (file displaced) চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়।
কী অভিযোগ?
শনিবার ছুটির দিন। তাও কেন রাত ৯টা পর্যন্ত সোনাচূড়া (sonachura) গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস (panchayat office) খোলা?সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ভিতরে পঞ্চায়েত কর্মীরা কাজ করছেন। কিন্তু এত রাতে কী কাজ?খবর পেয়েই পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছে যান বিজেপি কর্মীরাও। এর পরই ডামাডোল। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিজেপি কর্মী সকলের অভিযোগ, সন্ধে পেরিয়ে রাত একটু বাড়তে না বাড়তেই তথ্য প্রমাণ লোপাটের কাজ চলছিল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের দল জেলায় রয়েছে। সে জন্যই তথ্য প্রমাণে ব্যস্ত পঞ্চায়েত কর্মীরা, অভিযোগ বিজেপি-র। পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা বাড়লে শেষমেশ পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
মেখলিগঞ্জে কী ঘটেছিল...
কম-বেশি এক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা-১২টা পর্যন্ত মেখলিগঞ্জে মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের দফতরে আলো জ্বলছিল। 'কাজ' করছিলেন বেশ কয়েক জন সরকারি আধিকারিক। কিন্তু মাঝ রাতে সরকারি দফতরে কী কাজ চলতে পারে,এই নিয়েই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা দফতরে পৌঁছে যান। আসেন কয়েক জন বিজেপি নেতাও। আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ পদ্মশিবিরের। আধিকারিকের তালাবন্ধ রেখে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁদের। বিজেপি-র দাবি, বাম আমলে খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পরেশ অধিকারী যে একাধিক দুর্নীতি করেছিলেন তার তথ্য়প্রমাণ পাচার করতেই মাঝরাতে কাজ করছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরেশ অধিকারী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতিও জানিয়েছিলেন, খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
উত্তরের জেলায় বিতর্কের নিষ্পত্তি হতে না হতেই কার্যত এক অভিযোগ শোনা গেল দক্ষিণবঙ্গেও।
আরও পড়ুন:সব ধাপে 'ফুল মার্কস', তাও কেন এসএসএলভি ডি১-র প্রথম যাত্রাতেই চিন্তায় ইসরো?