শ্রীহরিকোটা: ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় ৯টা ১৮ মিনিট। যাত্রা শুরু করল ইসরো-র (ISRO) সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের ফার্স্ট লঞ্চ প্যাড থেকেই প্রথম যাত্রা 'স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল'-টির (Small Satellite Launch Vehicle)। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু একী! ১০টা ৪ মিনিটে ইসরোর অফিশিয়াল হ্যান্ডেলে টুইট। একেবারে চূড়ান্ত ধাপে কিছু তথ্য (data) পাওয়া যাচ্ছে না (missing)। অতঃপর চিন্তার ভাঁজ ইসরো-র বিজ্ঞানীদের (scientist) মধ্যে। তবে কি চন্দ্রযান-২ অভিযানের ছবিই ফিরছে?এখনও স্পষ্ট নয়।
কী আছে এতে?
পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করবে, এমন একটি কৃত্রিম উপগ্রহ এই এসএসএলভি-র প্রাথমিক পে-লোড। উপগ্রহটির নাম Microsat 2A বা EOS-02। এর দোসর হিসেবে AzaadiSAT নামে আরও একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়েছে এই যানে। লক্ষণীয় বিষয় হল, পুরো পরিকল্পনার অংশ যে গ্রাউন্ড সিস্টেম সেটি বানিয়েছে 'স্পেসকিডজ ইন্ডিয়া' নামে পড়ুয়াদের একটি দল। উপগ্রহ যে তথ্য পাঠাবে, তা এখানে গ্রহণ করার কাজ করবে এই সিস্টেম। শুধু তাই নয়। ইসরো সূত্রে খবর, কম-বেশি ৫০ গ্রাম ওজনের মোট ৭৫টি আলাদা পে-লোড রয়েছে এই এসএসএলভি-তে। সবকটিই দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
স্বাধীনতার ছোঁয়া...
শুধু প্রযুক্তি নয়, দেশের ভাবাবেগের কথাও মনে রেখেছে ইসরো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করতে মহাকাশে ভারতের তেরঙ্গা ছড়িয়ে দেবে এই লঞ্চ ভেহিকলটি, এমন ভাবেই এটি তৈরি করেছেন তাঁরা। এদিন এসএসলেভি-ডিওয়ান নামে ওই বিশেষ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের সফল যাত্রা শুরুর পর ইসরো চেয়ারম্যান ডি সোমনাথ বলেছিলেন, সব কটি পর্যায় ঠিকঠাক ভাবে উতরে গিয়েছে। কিন্তু সঙ্গে বলেন,'একেবারে চূড়ান্তে ধাপে কিছু তথ্য নষ্ট হচ্ছে। উপগ্রহগুলির কী অবস্থা ও যানগুলি কী ভাবে কাজ করছে সেটা শীঘ্রই দেখব আমরা।'
কেন এই এসএসএলভি?
বিশ্বজুড়ে ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যানের চাহিদা বাড়ছে। সেই বাজার ধরতেই ইসরোর এই উদ্যোগ। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সবচেয়ে ছোট এসএসএলভি-টি লো-আর্থ অরবিটে ৫০০ গ্রাম ওজনের উপগ্রহ পৌঁছে দিতে পারে। EOS-02 এবং AzaadiSAT দুটোই এই পরিমাপ মাথায় রেখে তৈরি।
আরও পড়ুন:একটা সোনা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে: হরমনপ্রীত