কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : আদালতের নির্দেশে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু সেই তালিকায় অনেকের নাম না থাকায় দানা বেধেছে বিতর্ক। টেটে যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদেরও একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ।


অসম্পূর্ণতার নেপথ্যেও কোনও রহস্য আছে?
১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের তালিকায় বহু পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ থাকলেও, নাম নেই! বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই অসম্পূর্ণতার নেপথ্যেও কোনও রহস্য আছে?


পরীক্ষায় কত নম্বর পেলেন, তা জানতে গত ৮ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন টেট উত্তীর্ণরা। এই নিয়ে মামলা হতে পর্ষদকে নম্বর প্রকাশের কড়া নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারই ভিত্তিতে শুক্রবার, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, মোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের নম্বর প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে অনেক পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর, রোল নম্বর আছে কিন্তু নাম নেই!


 ৮২ পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের তালিকা
শুধু তাই নয়। হাইকোর্টের নির্দেশে, ২০১৪-র টেটে যাঁরা ৮২ পেয়েছেন, সেই ৭ হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থীর নামের তালিকাও এদিন প্রকাশ করেছে পর্ষদ। আর সেই তালিকা ঘিরেও বিভ্রান্তি! দেখা যাচ্ছে সেই তালিকায় আবার কোনও পরীক্ষার্থীরই নাম নেই!  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি শুক্রবার জানান, ' আসলে বিগত বছরের তথ্য দিয়ে করা হয়েছে! আমরা নিজে নম্বর বসিয়ে দিতে চাই না। আমরা স্বচ্ছতার জন্যই শূন্যস্থান রাখা হয়েছে' 


বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই অসম্পূর্ণতার নেপথ্যেও কোনও রহস্য আছে? 



এদিন অন্য একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৪-র টেটের মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৩ হাজার ৯২৯ জনের নিয়োগ হবে। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাকারী ২৫২ জন চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন না। যদি যোগ্য হন, তবে তাঁরাও নিয়োগ পাবেন। আদালতের নির্দেশ, ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘোষিত শূন্যপদের মধ্যে যদি এই ৩ হাজার ৯২৯ জনের পদ যুক্ত থাকে, তাহলে তা বাদ দিতে হবে। ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।