রাজীব চৌধুরী, ফরাক্কা: আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মধ্যেই রবিবার সম্পন্ন হয়েছে টেট। রাজ্যের ৭৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় বসেছেন তিন লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি-তদন্ত চলাকালীন ফের নেমেছেন ভাগ্য পরীক্ষায়। আর সেই পরীক্ষায় কেবল ইচ্ছেশক্তির জোরে একসঙ্গে টেট দিলেন বাবা-ছেলে। 


ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার। প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষায় এবার বাবা ও ছেলে উভয়েই ছিলেন টেট পরীক্ষার্থী। দুজনেই একে অপরকে সাহায্য করেছেন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। পরীক্ষা শেষে দুজনেই সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী।   
       
মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানার চাঁন্দড় গ্রামের বাসিন্দা মোকাম্মেল হক পেশায় শিক্ষক। পঞ্চাশের দোরগোরায় পৌঁছে যাওয়া মোকাম্মেল চাদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক। তাঁর ছেলে এমএ পাস দিলওয়ার হাসান D.L.ED পড়ছে। দুজনেই ছিলেন এবারের টেট পরীক্ষার্থী। মোকাম্মেল এর আগে বেশ কয়েকবার টেট পরীক্ষা তিনি দিয়েছেন সফল হতে পারেননি, এবার অবশ্য পাশের আশা করছেন তিনি।                                                                


আরও পড়ুন, ৬ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি


    
পার্শ্ব শিক্ষক থেকে মোজাম্মেল চান পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হতে। সেই স্বপ্ন সফল হতেই তাঁর এই পরীক্ষা প্রস্তুতি বলে জানান তিনি। তাই বলে পঞ্চাশ বছর বয়সে? মোজ্জাম্মেল বলেন, “সরকার আমাদের মতো শিক্ষকদের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছে। সেই আশাতেই এবার পরীক্ষায় বসেছি।” তিনি আরও বলেন, “এই বয়সে পরীক্ষা দিতে কে চায় বলুন? কিন্তু যে বেতন পাই তাতে সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে।”          


ছেলে দিলওয়ার অবশ্য আক্ষেপের সুরে বলেন, “প্রতিবছর নিয়ম করে যদি পরীক্ষা হত তাহলে বাবাকে হয়তো এই দিনটা দেখতে হতো না। বাবার চাকরিটা হয়ে গেলে হয়তো আমি একটু ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম।” কিন্তু টেটে সফল হলেই কি মিলবে চাকরি ?  ভালো পরীক্ষা দিয়েও সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বাবা- ছেলে দুজনেরই মনে।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে