কলকাতা: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরেই করুণাময়ীতে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। আন্দোলনকারীদের দ্রুত এলাকা ছাড়তে মাইকে হুঁশিয়ারি। হুঁশিয়ারির মুখেও অনড় আন্দোলনকারীরা, একের পর এক অসুস্থ। পুলিশি হুঁশিয়ারির মুখে নতুন কৌশল নেন চাকরিপ্রার্থীরা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মানববন্ধন করে আন্দোলন চাকরিপ্রার্থীদের। 


আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা: রাস্তায় দিকে দিকে ব্যারিকেড। সঙ্গে পুলিশের হুঁশিয়ারি। মাইকে ঘোষণা। কিন্তু তারপরেও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। সাফ জানিয়ে দিলেন নিয়োগ হলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার হবে। নিয়োগের ঘোষণা  হলেই একমাত্র পথ থেকে সরবেন তাঁরা। এদিন এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমাদের নিয়োগ হলে উঠে যাব। যতক্ষণ না নিয়োগ দেবে উঠব না। এই সংগ্রাম চলবে।’’


ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান: পুলিশি হুঁশিয়ারির মাঝেই নতুন কৌশল নিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। জটলা করা বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। রীতিমতো ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যান। কোনও রকম বলপ্রয়োগে উঠতে নারাজ। এদিকে না আছে খাবার না, না আছে জল। পর্ষদের দফতরের কাছে আমরণ চাকরিপ্রার্থী। একসঙ্গে হাত হাত ধরে চার পাঁচ জন হাত হাত ধরে বসে মানব বন্ধন করেন। পুলিশ হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে যাতে তা রোখা যায়, তাই এই কৌশল বলে জানাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থীর কথা, “১৪৪ ধারা জারি আছে, তাই ৪ থেকে ৫ জন দলে দলে ভাগ হয়ে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে রেখে বসছি।’’


অসুস্থ একের পর এক চাকরিপ্রার্থী:করুণাময়ীতে টানা চারদিন ধরে চলছে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-ধর্না। যার মধ্যে টানা তিনদিন নির্জলা অনশন চলছে তাঁদের। গত দিন দুয়েকে একের পর এক চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিন সন্ধেতেও পুলিশি তৎপরতা বাড়ার পরও বেশ কয়েকজন শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। তাঁদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আশা হলেও তাঁরা অনশন তুলে অবস্থান মঞ্চ ছেড়ে যেতে চাননি। যারপরই কড়া সুরে পুলিশ জানায়, শারীরিকভাবে কোনও কিছু হলে তাঁর জন্য কিন্তু তাঁরা দায়ী থাকবেন না। যারপরই আলোচনার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে ফের আলোচনা করে অসুস্থদের বুঝিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর দিকটা নিশ্চিত করেন।


আরও পড়ুন: TET Agitation : 'মারতে এলে মার খাব, মরণ নিশ্চিত জেনেই তো এই পথে নেমেছি' পুলিশের সামনে চোয়াল শক্ত আন্দোলনকারীদের