সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টায় সুরবদল মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal)। মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে, এবার এমনটাই দাবি মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের।
কী দাবি করেছেন তিনি?
- ‘ডিএলএড কলেজে ভর্তির লেট ফাইন হিসেবে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়’
- ‘আমার অফিস থেকে টাকা যেত বোর্ডের কাছে’
- ‘৩০০ টাকা অনলাইনের ফি, তার সঙ্গে যোগ করা হত ৪ হাজার ৭০০ টাকা’
- ‘টাকা নেওয়ার পর কী হয়েছিল জানেন মানিক ভট্টাচার্য’
- ‘যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানিক ভট্টাচার্যই নিয়েছেন’
- ‘অনলাইন ক্লাসের জন্য চুক্তি হয় এডুক্লাসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে’
- ‘অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়াপিছু ৫০০ টাকার চুক্তি হয়’
- ‘নিয়ম ভেঙেছে কিনা সেটা জানে বোর্ড’
ফের ইডি-র দফতরে হাজিরার আগে মন্তব্য তাপস মণ্ডলের
বুধবার ED’র দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আর, বৃহস্পতিবার ফের ED’র দফতরে হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে। চতুর্থবার ED’র দফতরে হাজিরা দিতে এসে বুধবার সকালে বোমাটা ফাটান ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।
আরও পড়ুন, টুইটারের আরও কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটায়ের সিদ্ধান্ত! খরচ কমাতে ইলনের নয়া ভাবনা
এতদিন আদালতে যে দাবি করছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED’র দফতরে বয়ান রেকর্ড করাতে এসে সেটাই সরাসরি স্বীকার করে নেন জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস মণ্ডল। এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ED’র তরফে দাবি করা হয়েছিল।
সম্প্রতি, আদালতে ED দাবি করেছিল, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাউন্ট থেকে Educlasses’এর (মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের সংস্থা) অ্যাকাউন্টে আরও ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়া পিছু এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। এদিন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাপস মণ্ডলের মুখেও উঠে এসেছে Educlasses’এর কথা।