ঠাকুনগর: ১৪ ঘণ্টা ধরে চলছে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার (Sealdah-bongaon Line) ঠাকুরনগরে (Thakurnagar) ট্রেন অবরোধ চলছিল। ভোর ৪টে ৪০ থেকে শুরু হয় অবরোধ। প্রথম ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে অবরোধ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা (Protest)। রাজ্যে বিধিনিষেধ (Covid Restriction) জারির ফলে ট্রেন চলছে ভোর ৫টা থেকে। ভোরের ট্রেন ফের চালুর দাবিতে অবরোধ করেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। রেল কর্তৃপক্ষের (Indian Railway) প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


দিনভর ভোগান্তির পরে অবশেষে রাতে উঠল রেল অবরোধ। সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পরে ঠাকুরনগরে উঠল রেল অবরোধ। আপাতত বনগাঁ-শিয়ালদা শাখার চাঁদপাড়া থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।


স্টেশনে ট্রেন নেই। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তুমুল বিশৃঙ্খলার ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল সোমবাপ। হাওড়া(Howrah)-মেদিনীপুর(Midnapur) শাখায় ট্রেন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। বিকেল ৫টায় শেষ ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মেলেনি রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া। একই ছবি বালিগঞ্জ (Baliganj) , দমদম (Dumdun), ব্যারাকপুরেও (Barakpore)।


রবিবার নবান্নে (Nabanna) ঘোষণা হওয়ার পর এই দফার বিধি-নিষেধের প্রথম দিন আজ। গতকাল জানানো হয়েছিল আজ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। শুধু তাই নয় সংক্রমণ ঠেকাতে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ট্রেন চলার নির্দেশিকা দেওয়া হয়। আজ প্রথম দিনেই চূড়ান্ত হয়রানির ছবি ধরা পড়ল। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী যাত্রী বিক্ষোভের কারণে হাওড়া স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ছে স্পেশাল ট্রেন। ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে মেদিনীপুর স্পেশাল। 


ট্রেনের সময়সীমা (Local Train Schedule) ঘিরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়ায়। তার জেরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা স্টেশনে স্টেশনে। হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কিতে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহতও হলেন একাধিক মানুষ। দমদম, বারুইপুর, ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে এমন একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে। আহতদের মধ্যে ছিলেন একাধিক মহিলাও।