কলকাতা : হাইকোর্টে প্রাথমিক টেট (Primary TET)মামলায় নতুন মোড় । ‘৬টি প্রশ্ন ভুল-মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ডই’, অভিযোগ সেল খুলে ত্রুটি শোধরানোর (High Court) প্রস্তাব  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ‘২০১৪-র টেটের খাতা পুনর্মূল্যায়নের ত্রুটি জানাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা, ১৫ দিনের মধ্যে বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে জানানো যাবে ত্রুটি’ হাইকোর্টে প্রস্তাব দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ত্রুটি শোধরাতে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বোর্ড। 


নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে। বুধবার প্রাথমিকের টেটে ভুল প্রশ্ন মামলায়, আদালতে ত্রুটি স্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।


বোর্ডের প্রস্তাব :



  • ৬টি প্রশ্ন ভুল-মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ডই

  • অভিযোগ সেল খুলে ত্রুটি শোধরানোর প্রস্তাব, হাইকোর্টে প্রস্তাব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

  • ২০১৪-র টেটের খাতা পুনর্মূল্যায়নের ত্রুটি জানাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা

  • বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ জানালে ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি

  • ত্রুটি শোধরাতে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বোর্ড

  • ৭৩৮ জন পরীক্ষার্থীর নির্ঘণ্ট মেনেই হবে ইন্টারভিউ


২০১৪ সালে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের টেট হয়। সেই পরীক্ষার ৬টি প্রশ্নে ভুল ছিল। যা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিলে ফুল মার্কস দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে সেই নির্দেশ শুধু মামলাকারীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে, না বাকি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবত্‍ হবে, তা নিয়ে পরবর্তীকালে আদালতে একাধিক মামলা হয়। যা এখনও বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তখন, ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েও নম্বর পাওয়া যায়নি বলে ফের মামলা হয় আদালতে।

আরও পড়ুন :


মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া যাওয়ার অভিযোগ


৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েও যাঁরা নম্বর পাননি বলে অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে, শিক্ষকপদের জন্য অফলাইনে আবেদন করেন সেরকম প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ৭৩৮টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য একটি ইন্টারভিউ প্যানেল লিস্ট প্রকাশ করে পর্ষদ। এই প্রেক্ষাপটে, চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ মঙ্গলবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। যার শুনানিতে এদিন মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, 


অফলাইনে যাঁরা ফর্ম ফিল আপ করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখনও (ভুল প্রশ্নের) প্রাপ্য নম্বর পাননি। ফলে ইন্টারভিউয়ের প্যানেলে তাঁদের নাম নেই। উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী স্বীকার করে নেন, অফলাইনে বড় সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সেখানে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রাপ্য নম্বর দিয়ে প্যানেল তৈরি করা হবে। একথা শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, এখন কয়েকজন মামলাকারী এসেছেন।এই সংখ্যা তো দিন দিন বাড়বে। আপনারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন ওয়েবসাইটে তা আপলোড করছেন না। এরপরেই এদিনের শুনানি শেষ হয়ে যায়।  

এরপর বৃহস্পতিবার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ‘৬টি প্রশ্ন ভুল-মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ডই’