কলকাতা: ‘রাজ্যের থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। ১০০ শতাংশ টাকা রাজ্যের থেকে নিয়ে ৪০-৪৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ হয়।’শুক্রবার বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রকে নিশানা করে এমনই মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশ। বিধানসভায় বাজেট পেশ অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্পে জোর দিয়েছেন। ফলে এবারের রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের পর ফের একবার রাজ্যকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য। আমফানের পর ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য। শুধু বাংলাই সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয়। আর কোনও রাজ্যই সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয় না। এবার গ্যাস-পেট্রোলের দাম বাড়াবে কেন্দ্র।’ ডিভিসির ড্রেজিং প্রসঙ্গ টেনে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘ডিভিসি এখনও পর্যন্ত ঠিকমতো ড্রেজিং করেনি। ফরাক্কায় ড্রেজিংয়ে ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্র, এখনও দেয়নি। এখনও পড়ে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এখন এমন পরিস্থিতি যে মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা রেখে ভাবছে টাকা ফেরত পাব তো? অর্থনীতির হাল বেহাল, মানুষের হাতে টাকা নেই।
শেষ নয় এখানেই গতকাল উত্তরপ্রদেশ , গোয়া, পাঞ্জাব, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। পাঞ্জাব ছাড়া বাকি সব রাজ্যেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে মোদি সরকার। সেই প্রসঙ্গে বাজেট অধিবেশনে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কয়েকটা রাজ্যে জিতে লাফাচ্ছে, ২০২৪-এর জন্য লাফাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এ যাবৎ প্রশাসনিক গতিবিধি অনুযায়ী, আগামীদিনে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। ফলে পরিকাঠামো তৈরিতেও বাজেটে জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণে আর্থিক সংস্থান থাকা জরুরি। ফলে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে এবার বাজেট পেশ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।