কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে নয়া আলোড়ন। গণমাধ্যমে জানিয়ে রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন ‘স্থগিত’ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। ‘আজ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ট্যুইটে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেওয়া ক্ষমতা বলে এই সিদ্ধান্ত’ ট্যুইটে একথাও জানালেন রাজ্যপাল। সবমিলিয়ে চরমে পৌঁছল বিধানসভার সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত।
গত ২৬ জানুয়ারি বিধানসভায় (Assembly) বেনজির সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন অধ্যক্ষ (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banejee)। এ দিন তিনি বলেন, ভবিষ্যতে রাজ্যপাল (Governor) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে আগে কারণ জানতে চাইব। সেখানে ওনার কী ভূমিকা হবে।
এর আগে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, কড়া বার্তা এল বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে। তিনি বলেছেন, ‘এবার রাজ্যপাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাওয়া হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মঙ্গলবার অম্বেডকরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে বিধানসভায় এসেছিলেন জগদীপ ধনকড়। এর পর বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই, অধ্যক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি। বলেছিলেন, অধ্যক্ষ মনে করেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা খুশি বলার অধিকার তাঁর আছে। তিনি কি নিজেকেই আইন ভাবছেন? আমি এসব অনাচার বরদাস্ত করব না। অধ্যক্ষ যেন এরপর গর্ভনরের ভাষণ ব্ল্যাক আউট না করেন। তাহলে আইনের মোকাবিলা করতে হবে তাঁকে।
রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকেও জোরাল ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। এর পাল্টা রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপাল এখানে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি যে এই মঞ্চকে সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করবেন, তা জানা ছিল না। তাঁর এই আচরণ অবাঞ্ছিত ও অসৌজন্যতামূলক। যে কোনও প্রোটোকল ও রীতিনীতির বাইরে।