কলকাতা: 'পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhkari) আবেদনের শুনানি আজ নয়'। জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবাগনানাম। মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে, দ্রুত শুনানির প্রয়োজন কেন ? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। সোমবার আসার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীদের পরামর্শ বিচারপতির। গতকালই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু ।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু: গতকালই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ তৈরিতে বেনিয়ম হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিরোধী দলনেতা আবেদন করেন, তিনি সুুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালত বন্ধ। তাই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক, যেন আগামী ৭ দিন নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করা হয়। শুধু তাই নয়, সেই মামলার প্রক্ষিতে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশও জারি করেছিল আদালত। তবে ভোট-প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি হাইকোর্ট । এর আগে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক দাবি নিয়ে, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা: উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কিছু নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়, কেউ কোনও প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁরা পোলিং পার্টি হতে পারবেন না। এমনকি পোলিং পার্টির সদস্যরা যে ব্লকের বাসিন্দা হবেন বা যে ব্লকের কর্মরত হবেন সংশ্লিষ্ট ব্লকে নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনটাই নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। পোলিং পার্টি গঠন করা হবে রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারি কর্মচারী, রাজ্য বা কেন্দ্রের অধীনে থাকা দফতরের কর্মী, পুরসভা, সরকারি বা সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ,উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক বা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে।