সৌরভ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Recruitment Scam ) ধৃত, অয়ন শীলের ( Ayan Seal )  বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। ' শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অযোগ্য়দের চাকরি বিক্রিই নয়! যাঁরা যোগ্য়, তাঁদেরও চাকরি পাওয়ার জন্য় টাকা দিতে হত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলকে। টাকা না দিলেই, রাতারাতি বদলে যেত প্য়ানেল! যোগ্য়তার জোরে চাকরি পেলেও, তা হারাতে হত।' এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। 


'প্যানেলটাই বদলে দেওয়া হয়'


এমন অভিযোগ এনেছেন চয়নিকা আঢ্য়।  তাঁর বাড়ি চুঁচুড়ায়। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভায় গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি আবেদন করেন। পরীক্ষা হয়, ইন্টারভিউ হয়, পাস করায় প্য়ানেলে তাঁর নামও ওঠে। স্পোর্টস কোটায় চাকরি পান তিনি। অভিযোগ, তারপরই তাঁর কাছ থেকে টাকা চায় অয়ন শীল। কিন্তু না দিতে পারায়, ৬ দিন কাজ করানোর পর, প্যানেলটাই বদলে দেওয়া হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি ,  ' অয়ন শীলের বিশাল রাজত্ব। ওরা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আমাকে জয়েন করতে দিচ্ছিল না। ওরা বলে যিনি টাকার ডিমান্ড করছেন, সেটা ফুল ফিল করুন। নাহলে জয়েন করতে দেওয়া যাবে না। অয়নের অফিসে গেলাম, সে বলল চাকরির জন্য় দিতে হবে। ৫ লাখ দিতে হবে। আমার বাবা বলেন, দিতে পারব না। পুরোটা আটকে দিল।'

'বড়বাবু ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করে দেয়'


এই চাকরিপ্রার্থীর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তৃণমূল পরিচালিত টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্য়ানও! চয়নিকার দাবি, ' আমায় জয়েন করতে দেয়নি। চেয়ারম্য়ান প্রশান্ত চৌধুরী, বড়বাবু বললেন, যাঁর সাথে টাকার কথা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। নয়তো জয়েন করানোর ব্য়বস্থা করতে পারব না। লাস্ট যেদিন গেছি, সেদিন বড়বাবু ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করে দেয়। '  


অভিযোগ, জয়েনিং লেটার দেওয়ার পরও, টাকা দিতে না পারায়, যোগ্য় প্রার্থীর চাকরি আটকে দেওয়া হয়।বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবা। তাঁদের দায়িত্ব এখন চয়নিকার কাঁধে। একটা চাকরি তাঁর জীবনটা একটু সহজ করে দিতে পারত। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির জাল আরও কঠিন করেছে চয়নিকার চলার পথ। 

আরও পড়ুন :


ডুয়েট গাইলেন মমতা - ইন্দ্রনীল, চোখে জল এল বাবুলের