সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আজই শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা (madhyamik exam0। আর এদিনই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Ramanjun Ganguly Summoned) তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চের নির্দেশ, আজ দুপুর ২টোয় রামানুজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে হাই কোর্টে। উল্লেখ্য, চাকরির সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি, তারপরও চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়াকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। পর্ষদ অফিসের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অঞ্জনকুমার খাটুয়ার অভিযোগ, ওই আধিকারিক বলেন,  'আপনি অন্ধ হয়ে চাকরি করতে চলে এসেছেন, আপনি কী ভাবে পড়াবেন?'


কী জানা গেল?
মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে তলব ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। তিনি একটি চোখে দেখতে পান না। গত মাসে হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো অঞ্জনের সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরই আদালত অবমাননার রুল জারি হয় যা মানা হয়নি বলে খবর। এতেই শেষ নয়। পর্ষদ অফিসে এই চাকরিপ্রার্থী চাকরি নিতে গেলে অপমানও করা হয় বলে দাবি। শোনা যাচ্ছে, পর্ষদ অফিসের এক আধিকারিক বলেন, "আপনারা কি মনে করেন যখন খুশি নিয়োগপত্র দেওয়া যায়? আপনারা মেদিনীপুর থেকে আসেন, প্রচুর টাকা রয়েছে। মামলা দায়ের করে দেন। কলকাতা হাইকোর্ট এমন খারাপ নির্দেশ দেবে আর তা পালন করতে হবে। আপনি অন্ধ হয়ে চাকরি করতে চলে এসেছেন। আপনি কী ভাবে পড়াবেন?" এমনিতেই শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ ও তদন্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তার উপর এই অভিযোগ। 


নিয়োগ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে...
হালে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একাধিক ব্যক্তির মুখে 'কালীঘাটের কাকু'র কথা উঠে আসে। কে এই 'কালীঘাটের কাকু'? কতটা প্রভাবশালী তিনি? গত কাল সেই 'কালীঘাটের কাকু'র কাছে পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। আর ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েই বিস্ফোরক তিনি ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।  তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁর পর্যন্ত এসে থেমে যেতে হচ্ছে। সুজয়কৃষ্ণ বলেন, "আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। সেই অবধি কোনও লোক পৌঁছতে পারবে না। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে আমি অবধি এসে থেকে যেতে হচ্ছে।"


আরও পড়ুন:কর্মবিরতিতে কার্যত স্তব্ধ হাইকোর্ট, প্রযুক্তির ব্যবহারে তাক লাগালেন বিচারপতি বসাক