উত্তর ২৪ পরগনা: টানা বৃষ্টির মধ্য়ে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue)। বাড়ছে মৃত্য়ু। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana) ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। ২৮-এ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য় দফতরের দেওয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ৯ হাজার ৯৬৫। তারমধ্য়ে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্য়া ৬ হাজার ৫২৩ এবং গ্রামাঞ্চলে ৩ হাজার ৪৪২। শহরাঞ্চলের মধ্য়ে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা বিধাননগর পুর এলাকায়। সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ২৯৮। এছাড়া দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতির অবস্থা অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক। গ্রামাঞ্চলের মধ্য়ে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবরা ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা, গাইঘাটায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। 


পুজোর আগে রাজ্য়ে ভয়াবহ ডেঙ্গি


 ২৪ ঘণ্টায় মৃত্য়ু হল ৩ ডেঙ্গি আক্রান্তের। মৃত্য়ু হল ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা প্রৌঢ়ের, লেকটাউনের এক মহিলার এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক যুবকের। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেঙ্গি প্রবণ এলাকার বাসিন্দারা। পুজোর আগে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি!ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল আরও ৩ সহ নাগরিকের। আনন্দ-উৎসবের আগেই দিকে দিকে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা হু হু করে বাড়ছে মৃত্য়ু মিছিল। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্য়া ৩ থাকলেও, বেসরকারি মতে সংখ্য়াটা ৫০ পেরিয়ে গেছে ৫৩)।


গতকাল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল দক্ষিণ দমদম এবং ঠাকুরপুকুরের দুই বাসিন্দার। সোমবার, উল্টোডাঙার নর্থ সিটি নার্সিংহোমে মৃত্য়ু হয়, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লেকটাউনের শ্য়ামাপ্রসাদ কলোনির বাসিন্দা, ডেঙ্গি আক্রান্ত তাঁর মেয়েও, পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভোগায় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় রোগীকে। সেখানেই সব শেষ। এই নিয়ে শুধু দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল ৯ জনের। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পুরসভা!কাউন্সিলরের দেখা মেলে না!


 


অন্য়দিকে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল, কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ড, ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা, পরেশ সাউ নামে এক ব্য়ক্তির। ৬৩ বছরের ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার নিউ আলিপুরের বি পি পোদ্দার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সন্ধেয় মারা যান তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় এলাকায়। আর সেই জমা জলে জন্ম নেয় মশার লার্ভা আমরা সেই পাড়াতেই দাঁড়িয়ে আছি। এলাকাবাসীর বক্তব্য়, এই পাড়ায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। ভোগান্তি।