সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ১০ বছরের শ্রীতমা মণ্ডলের মরণোত্তর দেহ দান (Posthumous body donation) পরিবারের। এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) অ্যানাটমি (anatomy) দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হল মৃতদেহ। সংগ্রহ করা হয়েছে কর্নিয়াও। এই সিদ্ধান্ত দেহ দান আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। দাবি গণদর্পণ সংগঠনের।


নাবালিকার দেহ দান


৬ বছর ধরে দূররোগ্য রোগের সঙ্গে লড়াই করে হার মেনেছে ১০ বছরের মেয়েটা। মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন, স্কুলের বন্ধু-বান্ধবদের ছেড়ে চিরতরে পাড়ি দিয়েছে, না ফেরার দেশে। বাড়ির ছোট্ট মেয়েটাকে হারানোর পর, দেহ দানের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত মা-বাবার। যা সাম্প্রতিক অতীতে বিরল বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। 


সোমবার SSKM-র অ্যানাটমি বিভাগের হাতে শ্রীতমা মণ্ডলের মৃতদেহ তুলে দেয় তার পরিবার। শ্রীতমার বাবা নারায়ণ মণ্ডলের কথায়, 'আমার মেয়ের রোগ তো কোনও চিকিৎসক সারাতে পারলেন না। মেয়ের দেহ দান করে দিলাম। এবার গবেষণা করে রোগটা নির্ণয় করুক।'


হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা শ্রীতমা দীর্ঘ দিন ধরেই ব্রেন স্টেম গ্লিওমা রোগে ভুগছিল। চিকিৎসার জন্য শ্রীতমাকে ভিন্ রাজ্যেও নিয়ে গিয়েও লাভ হয়নি। রবিবার হাওড়ারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এরপরই ছোট্ট মেয়ের দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। দেহ দানের জন্য তারা যোগাযোগ করে ‘গণদর্পণ’ সংগঠনের সঙ্গে। 


আরও পড়ুন: North 24 Paraganas: নাবালিকাকে 'গণধর্ষণ', মিটমাটের জন্য সালিশি সভা বসানোর অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে


গণদর্পণের সম্পাদক শ্যামল চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ছোট্ট মেয়েটার পরিবার যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা দেহদান আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। দেহদান আন্দোলনে ডিনামাইটের কাজ করবে।' মরণোত্তর দেহ দানের পাশাপাশি শ্রীতমার কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। 


অন্যদিকে কিছুদিন আগেই নিজের মৃত্যু দিয়েও অন্যকে জীবন ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন শহরের চিকিৎসক। ব্রেনডেড অবস্থা থেকে ফেরানো সম্ভব হয়নি ৪৩ বছরের সংযুক্তা শ্যাম রায়কে। তাই পরিবারের সদস্যরা তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন (Organ Donation)। তাতেই জীবন রক্ষা হচ্ছে অনেকের। তাঁর দুই কিডনি, লিভার এবং কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে।