কলকাতা: ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার ভোট নিয়ে কালই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। কাল সকাল ১১টায় সাংবাদিক বৈঠক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক। কাশ্যে জনসভায় ২৫০ জনের বদলে ৫০০ জনে ছাড়। কাল জেলা শাসক-পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। একসঙ্গে ১২ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোটের গণনার দাবি জানিয়েছে বাম-বিজেপি। ২৭ ফেব্রুয়ারির ১০৮ টি পুরভোট পিছনোর দাবি কংগ্রেসের। সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন, পুরভোট নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।


পিছোচ্ছে না পুরভোট, সম্প্রতি এমনটাই খবর মেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ১০৮টি পুরসভার ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারিই। ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের। গত মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির আর্জি খারিজ করে এমনটাই খবর মেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


২৭ ফেব্রুয়ারির পুরভোট (Municipal Election 2022) পিছনোর দাবি বিজেপির (BJP)। ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক,  রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি জানাল রাজ্য বিজেপির। তাদের দাবি, রাজ্যের সব পুরসভার ভোটগণনা একদিনে করা হোক।


এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের হার কমলেও বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে  উত্তরবঙ্গে করোনার প্রকোপ  খুবই বেশি।এর পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত ভোট পিছিয়ে দেওয়াই উচিত। সেই সঙ্গে বিজেপি বলেছে, আমাদের  দেশে নিয়ম আছে, ভোট চললে গণনা হয় না।  যাতে এর প্রভাব অন্য ভোটে না পড়ে। যেহেতু রাজ্যেরই বিভিন্ন পুরসভার ভোট হবে, তাই একসঙ্গেই সবকটি পুরসভার ভোট গণনা করা দরকার। 


বিজেপির এই দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কটাক্ষ, হারের ভয়েই এই দাবি করছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, বিজেপির বরং স্মারকলিপিতে লিখে দেওয়া উচিত , যতদিন না প্রার্থী খুঁজে পাব, যতদিন না দলের গণ্ডগোল মিটবে, যতদিন না বুথ এজেন্ট, কর্মী খুঁজে পাব, ততদিন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক।