কলকাতা: সাগরদিঘিতে তৃণমূলের হার নিয়ে ফের বিস্ফোরক মদন। 'দলের মধ্যে অন্তর্ঘাতের একটা চক্রান্ত আছে। যে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দল রেয়াত করবে না', প্রত্যেকের গতিবিধির ওপর নজর রাখা উচিত, ফের বিস্ফোরক মদন। 


গোলাপের পাপড়ির উপর দিয়ে এসে, ঘোড়ার গাড়িতে বসলে, রাজা হওয়া যায়, নেতা হওয়া যায় না। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এই মন্তব্য করে, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ঠিক কার দিকে ইশারা করলেন? সাগরদিঘির ফল নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেছেন মদন মিত্র।                                                            


তৃণমূল নেতা বলেন, 'ঘোড়ার গাড়ি চড়ে এসে তুমি রাজা হতে পারো, নেতা হতে পারবে না... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সংগ্রামের পথ দিয়ে নবান্নে বসেছেন, গোটা তৃণমূলে তো সেই রোদের দাবদাহ সহ্য করে এমএলএ-এমপি হয়নি অনেকে। সরাসরি কারও নাম করলেন না। কিন্তু, সাগরদিঘির ভোটে তৃণমূলের হারের পর ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন মদন মিত্র।


নাম না করে, কার দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনি? সেই জল্পনা জোরাল হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। সাগরদিঘিতে ভরাডুবির জন্য কার্যত দলের একাংশের দিকে আঙুলও তুলেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মদনের কথায়, 'একটানা দালালি যারা করেছে, তারা তো বেসুরো বাজবে। দলের মধ্যে নজরদারি করতে হবে। এখন বিধানসভার ফ্লোরে গিয়ে দেখুন কোন কোন বিধায়কের মুখে গোঁফের রেখায় হাসি দেখা যাচ্ছে।' 


আরও পড়ুন, প্রাসাদসম বাড়ি, গ্যারাজে বিলাসবহুল দামী গাড়ি,কল সেন্টার খুলে বিদেশিদের প্রতারণা, পুলিশের জালে ২ ভাই


যে মদন মিত্র পঞ্চায়েত ভোটে ৯৮ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার কথা বলতেন, এদিন তাঁর মুখেই শোনা গেল বিজেপির ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'বিজেপি আমাদের নেতাদের দিল্লি, ওড়িশায় নিয়ে যাবে। নেতাদের এমন ব্লক করে দেবে, তখন পঞ্চায়েতে ফাঁকা মাঠে গোল দেবে। এখন বলতে পারেন, মানুষ তো আছে! কিন্তু নেতৃত্ব তো দরকার! সাগরদিঘিতে আমাদের নেতৃত্ব মানুষকে এই মেসেজ দিতে পারল না যে, চোলি কা পিছে ক্যা হ্যা। তৃণমূলে এখন একটু ভক্তি রসের প্রয়োজন। যাতে একটু ভালোবাসা যায় দলটাকে।'