মোহন প্রসাদ ও উমেশ তামাং, দার্জিলিং: ভবিষ্যতে দার্জিলিং (Darjeeling) শহরে আর কোনও বন্ধ হবে না। ঘোষণা করলেন হামরো পার্টির (Hamro Party) প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দাবি, বন্ধের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব তারাই। পাহাড়ের আরেক দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চারও দাবি, তাদের পথেই চলছে হামরো। ভাল কাজের সমর্থন করা হবে, বলছে বিজেপি (BJP)।
হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড ঘোষণা করেছেন, দার্জিলিংকে (Darjeeling) স্ট্রাইক ফ্রি জোন করা হবে, ভবিষ্যতে কোনও বন্ধ হবে না দার্জিলিঙে - একলাইন একলাইন একলাইন। প্রথম নির্বাচনী যুদ্ধেই বাজিমাত।
ট্র্যাডিশনাল দলগুলিকে কোণঠাসা করে দার্জিলিংয়ের পুরবোর্ড দখলের পরে, পাহাড়ের রানিকে বন্ধ-মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বহু বছর ধরে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের সাক্ষী পাহাড়ের রানি। খুন...বন্ধ...ভাঙচুর...লুঠপাট...অগ্নিসংযোগ!
বাদ যায়নি কিছুই। ৫ বছর আগে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ১০৫ দিন ধরে বনধ চলে পাহাড়ে। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চা শিল্প, পর্যটন ব্যবসা।
এই প্রেক্ষাপটেই দার্জিলিঙ পুরসভার ক্ষমতা দখলের পরে, হামরো পার্টির প্রধানের নতুন বার্তা আর বনধের রাজনীতি নয় পাহাড়ে! পাহাড়ে বনধের রাজনীতি প্রসঙ্গে একই অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল এবং ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
অজয় এডওয়ার্ডের সিদ্ধান্তকে কার্যত সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। কার্শিয়ং-এর বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, যে ভাল কাজ করে বিজেপি তার প্রশংসা করে, ভাল কাজ করলে সমর্থন করব।
এদিনই হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে দার্জিলিঙের প্রতিটি জায়গায় সরকারি হোর্ডিংয়ে নেপালি ভাষাও ব্যবহার করা হবে।