সুনীত হালদার, হাওড়া: মেয়ের বিয়ের (wedding) জন্য রাখা কয়েক লক্ষ টাকার (gold) সোনার (jewelry) গয়না নিয়ে চম্পট দিল চোর (thief)। গত কাল গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (howrah) গোলাবাড়ি থানার পিলখানা  থার্ড লেনের একটি ফ্ল্যাটে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ (police)। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।


কী ঘটেছিল?
আগামী ডিসেম্বর মাসে মেয়ের বিয়ে। পেশায় লোহার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোস্তাকিন সে জন্যই বাড়িতে নগদ টাকা ও গয়না রেখেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু তার আগে ঘটে গেল চুরি। দরজা ও আলমারি ভেঙে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি নগদ নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা, এমনই অভিযোগ ব্যবসায়ীর। এর মধ্য়েই গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোস্তাকিন। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পড়শিদের অনেকের অবশ্য প্রশ্ন, এতগুলো টাকা ও সোনার গয়না কোন ভরসায় বাড়িতে রেখেছিলেন মোস্তাকিন? উল্টো দিকে, নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মেয়ের বিয়ের আগে এত বড় ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই মুষরে পড়েছে পরিবার। এর পর কী হবে? অনিশ্চয়তা সদস্যদের মধ্যে।


বিয়ে-বাড়িতে চুরি ঘিরে হইচই আগেও...
গত বছর জুন মাসে বেলেঘাটার সুরেন সরকার রোডে একটি বিয়েবাড়িতে চুরির ঘটনা সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছিল। সে বার গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল বাড়ির বড় জামাই পার্থসারথি ঘোষ। গত বছর ২১ জানুয়ারি গোবিন্দ চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে তাঁর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না তারা একটি আলমারিতে রেখেছিলেন। বিয়ের ৩ দিন পর অর্থাৎ ২০ তারিখ আলমারি খুলে দেখতে পান যে আলমারি থেকে সমস্ত সোনার গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। তার পরই থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের কর্তা। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেলেঘাটা থানার তদন্তকারী দল তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করেন। তদন্তের প্রথম পর্যায়ে পরিবারের সকল সদস্যদেরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে চায় পরিবারের কোন কোন সদস্য ছিলেন। এরই মাঝে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানান সেই সময়ে তাদের বড় জামাই পার্থসারথি ঘোষ তিনিও সেই বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু ঘটনার আগের দিন রাতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে সকলকে জানান, শরীর খারাপ লাগছে। আর তার পর দিনই বেহালা থানার অন্তর্গত রায়বাহাদুর রোডের নিজের বাড়িতে ফিরে যান। বিষয়টি জানার পর পুলিশ বড় জামাই পার্থসারথী ঘোষকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করলে পার্থসারথি ভেঙে পড়েন। একসময়ে মেনে নেন, তিনি-ই চুরি করেছেন। 
তবে হাওড়ায় ঘটনায় এরকম কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত এগোলে কিছুটা বোঝা যেতে পারে, আশায় হবু কনের পরিবার।


আরও পড়ুন:অমিত শাহের বাড়িতে ৫ ফুটের সাপ, ত্রস্ত নিরাপত্তাকর্মীরা, তারপর...