ঝিলম করঞ্জাই, আবির দত্ত, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ডেঙ্গির (Demgue) পর এবার চিকুনগুনিয়া (Chikungunya)। ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে আরও এক মশা-বাহিত রোগের তথ্য কেন্দ্রকে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল। NCVBDC-র ওয়েবসাইট বলছে, ২০২৩ সালে রাজ্য়ে কতজন চিকুনগুনিয়ায় (Chikungunya) আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য় কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি। আর এ নিয়ে তুঙ্গে তরজা। রাজ্য়কে আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি বিরোধীরা। 


ডেঙ্গির পর এবার চিকুনগুনিয়া: মশা-বাহিত আরও এক রোগের তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্য়ের বিরুদ্ধে! NCVBDC-র ওয়েবসাইটে উল্লেখ, কতজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত, একমাত্র এই রাজ্যই সেই তথ্য দেয়নি। ঠিক যেমনটা দেখা গেছে, ডেঙ্গির ক্ষেত্রে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েবসাইটে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে এখনও ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রান্ত কোনও তথ্যই জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। সেখানেও, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পাশে লেখা NR.এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে তথ্য় গোপন করছে নবান্ন।                                                          


সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ডেঙ্গি নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করেছে তারা। এবার ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে চিকুনগুনিয়ার আক্রমণ। একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকার চিকনগুনিয়া (Chikunguniya) নিয়ে তথ্য গোপন করছে।           


রিপোর্টে 'লুকোচুরি'? জবাব তৃণমূলের (TMC)। NCVBDC-র ওয়েবসাইটের তথ্য় বলছে, ডেঙ্গি WEST BENGAL 67,271 ও ম্যালেরিয়া WEST BENGAL - 40594. মশাবাহিত জোড়া রোগে ২০২২-এ সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ! চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, রাজ্য সরকার ২০২২-এর তথ্য কেন্দ্রকে পাঠায় ২০২৩ সালে। সেই তথ্য আপলোড করতেই দেখা যায়, সংক্রমণের নিরিখে প্রথমে রয়েছে বাংলা! এদিকে, ডেঙ্গি-ম্য়ালেরিয়া তাণ্ডবের মধ্য়েই  চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের খবরে বাড়ছে আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ ডেঙ্গির মতোই। সারা গায়ে র‍্যাশ, প্রবল জ্বর, গায়ে ব্যথা হয়। এক সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপ। হতভম্ব সাধারণ মানুষ।                  


আরও পড়ুন: মহিলা শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে সোনারপুরে গেঞ্জি কারখানায় ধুন্ধুমার। ভাঙচুর করা হল কারখানা