মোমিনপুর: এবার মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্তভার যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি NIA’র হাতে। ৮ অক্টোবর রাত থেকে, কলকাতার মোমিনপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। এই ঘটনায় পাঁচটি FIR করে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে, NIA তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। শেষমেশ সেই তদন্তভার নিচ্ছে NIA


রাজ্যে আরও একটি ঘটনার তদন্তভার গেল কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। এবার মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্তভার নিল NIA। অমিত শাহের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রকের নির্দেশে একটি FIR করে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিচ্ছে তারা। বুধবার নগর দায়রা আদালতে FIR জমা দেওয়া হবে। তারপর থানায় গিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে NIA অফিসাররা কথা বলবেন বলে সূত্রের দাবি।


৮ অক্টোবর রাত থেকে কলকাতার মোমিনপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। গোষ্ঠী সংঘর্ষে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় ৫টি FIR করেছে। গ্রেফতার করা হয় ৪৫ জনকে। 
যদিও, বিরোধীরা এই ঘটনার পর, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 


এই প্রেক্ষাপটে ১২ অক্টোবর মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্ত বা NIA করবে  কিনা? সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ছাড়ে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে NIA তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। সেই মতো মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল NIA। 


মোমিনপুরকাণ্ডে সিট গঠন করেছে হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গঠন সিট। কী কী কাজ করবে সিট? আদালতের নির্দেশ, ‘অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ, তাদের উদ্দেশ্য জানতে পদক্ষেপ করবে সিট। পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পদক্ষেপও করবে সিট। অন্যদিকে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পুলিশ পিকেট থাকবে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে রাজ্য, যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে রাজ্য। স্থানীয় মানুষকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই’।


আটক সুকান্ত মজুমদার: ঘটনার দিন মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। এ দিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয় সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। বালুরঘাটের সাংসদ মোমিনপুরে যাচ্ছিলেন কী করতে? প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।