কলকাতা: জিআই ট্যাগ (GI Tag) পাওয়া পণ্যের তালিকায় নতুন সংযোজন পশ্চিমবঙ্গের তিনটি শাড়ি (Sarees Of West Bengal)। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বিষয়টি ঘোষণা করেন। লেখেন, 'নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের, কোরিয়াল ও গরদ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ও রেজিস্টার্ড রয়েছে।' এই জন্য, সংশ্লিষ্ট বয়নশিল্পীদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান তিনি। লেখেন, 'ওঁদের জন্য আমরা গর্বিত। ওঁদের অভিনন্দন।'






জিআই ট্যাগ নিয়ে...
এর আগে, বাংলার রসগোল্লা-সহ একাধিক পণ্য GI ট্যাগ পেয়েছিল। তালিকায় ছিল,



  • মাদুর কাঠি (হস্তশিল্প)

  • কুশমান্ডির কাঠের মুখোশ (হস্তশিল্প)

  • পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ (হস্তশিল্প)

  • বাংলার পটচিত্র (হস্তশিল্প)

  • বাংলার ডোকরা (হস্তশিল্প)

  • বাঁকুড়া-পাঁচমুড়া টেরাকোটা শিল্প (হস্তশিল্প)

  • তুলাইপাঞ্জি চাল (খাবার)

  • গোবিন্দভোগ চাল (খাবার)


 সেই তালিকায় নতুন সংযোজন টাঙ্গাইল, গরদ এবং কোরিয়াল।


GI Tag কী...
কোনও পণ্যের উৎস আদতে কোন এলাকায়, সেটা বোঝানোই 'জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন'ট্যাগ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য। পণ্যের 'জিআই ট্যাগ'দিয়ে তার গুণমান ও স্বকীয়তাও বোঝা সম্ভব। একটু সহজ করে বললে, জিআই ট্যাগের মাধ্যমে যে কোনও শিল্পজাত পণ্যের উৎস হিসেবে কোনও ভৌগোলিক এলাকা বা অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটি দেখে ক্রেতা বা গ্রাহক বুঝতে পারেন, যে ওই ভৌগোলিক এলাকা থেকে আসা সংশ্লিষ্ট পণ্য গুণমানে খাঁটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, 'জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন' ট্যাগ থাকলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব যে তার আদত উৎস হিসেবে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকায় তৈরি পণ্যের খ্যাতি বা স্বাতন্ত্র্যের বিষয়টিও ধরা থাকে 'জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন'ট্যাগে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ দেওয়ার রীতি চালু হয় ভারতেও। জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন অফ গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন) অ্যাক্ট, ১৯৯৯ আইনটি বলবৎ হয় ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। 


আরও পড়ুন:SSKM-এ ভর্তি কারা? কেন ভর্তি? জানতে চাইল হাইকোর্ট