সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি (Rain) হতে পারে কলকাতার (Kolkata) কিছু অংশে। এই মর্মে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। এই সময়টা প্রত্যেককেই নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ...
এমনিতে আজ সকালে যা পূর্বাভাস, তাতে কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। কাল থেকে বাড়বে তাপমাত্রা। জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি বাড়বে। কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রার হেরফেরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
হালকা মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে
তবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ও বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ বীরভূম নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। তবে আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে, দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি।
উত্তরে বাড়ছে দাপট...
দক্ষিণ যখন ভিজছে, তার আগে থেকেই বর্ষার দাপট বেড়েছে উত্তরে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে । উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় দার্জিলিং ও কালিম্পং এর বেশ কিছু এলাকায় ল্যান্ড স্লাইড বা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। জলস্তর বাড়বে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সংকোষের মতো নদীগুলিতে।