হাওড়া: সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। মেলার নিরাপত্তা নিয়ে নবান্নে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলায় দুর্ঘটনা রুখতে  ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। 


মেলা নিয়ে আর কী কী প্রস্তুতি দেখে নিন



  • ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।

  • মেলা প্রাঙ্গন পরিষ্কার রাখার জন্য ১০ হাজারের বেশি শৌচালয়।

  • ময়দানে আরটিপিসিআর টেস্ট করার পরামর্শ।

  • ৬০০ বেডের করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

  • গঙ্গাসাগর মেলায় ৬ দিনে অতিরিক্ত ৭০টি ট্রেন চলবে।

  • ১১টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি রাখা হচ্ছে। 

  • কোভিড বিধি মেনে মেলার আয়োজন করতে হবে।

  • শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

  • গঙ্গাসাগরে থাকবে ৫টি সেফ হোম।


নতুন বছরের শুরুতেই গঙ্গাসাগর মেলা। তুঙ্গে মেলার প্রস্তুতি। সম্প্রতি মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে খবর ছিল, ২৯ ও ৩০ তারিখ গঙ্গাসাগরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ড্রোনের সাহায্যে চলবে নজরদারি। পুণ্যার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে পর্যপ্ত পরিবহণের ব্যবস্থা। নজর দেওয়া হচ্ছে কোভিড বিধিতেও। 


কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। আগামী জানুয়ারি মাসের ৯ থেকে ১৬ তারিখ গঙ্গাসাগর মেলা। সাগরে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নানের উদ্দেশে আসবেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তরা। শুরু হয়ে গেছে মেলার প্রস্তুতি। 


গত ২২ তারিখ এনিয়ে জরুরি বৈঠক করার পাশাপাশি, মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন, পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী। ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীও। তিনি জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। 


সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী  বঙ্কিম হাজরা বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরে আসবেন। মেলার শেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।


প্রশাসনের অনুমান, গতবারের তুলনায় এবার গঙ্গাসাগরে ভিড় বাড়বে পুণ্যার্থীদের। তাঁদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। তাই প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তায় রাখা হচ্ছে না কোনও খামতি।