হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাগে আসেনি বাঘিনী। উড়িষ্যা থেকে ঝাড়খন্ড হয়ে রাজ্যের ঝাড়গ্রামের পর বর্তমানে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকার রাইকা পাহাড়ের কেশরা জঙ্গলের আশেপাশে অবস্থান রয়েছে এই বাঘিনীর। কখনও ভারারিয়া পাহাড়, কখনও ঝাড়ুয়া পাহাড় - রেডিও কলারের মাধ্যমে বাঘিনীর গতিবিধি জানতে পেরেছে বন দফতর। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার রাহামদা গ্রামের বেশ কিছু গবাদি পশুর উপরে হামলা করেছে বাঘিনী। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকটি গবাদি পশুর। তার ফলে আতঙ্ক রয়েছে গ্রামে এবং সংলগ্ন এলাকায়। রায়হানদা গ্রামের শবরটলা এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামের চারধারে জাল পাতা হয়েছে, যাতে গ্রামবাসীদের উপরে বাঘিনী হামলা না করতে পারে। বাঘিনীকে বাগে আনতে ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে খাঁচার সংখ্যা। তিন থেকে খাঁচার সংখ্যা করা হয়েছে পাঁচ। বিভিন্ন জায়গায় গবাদি পশু রেখে টোপ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বাঘিনীকে। যদিও সেই টোপ এখনও ছুঁয়েও দেখেনি বাঘিনী। বনদফতরের প্রয়াস চলছে বাঘিনীকে বাগে আনার। তবে এখনও তাকে খাঁচা বন্দি করা সম্ভব হয়নি।
পুরুলিয়ার রাইকা জঙ্গলেই রয়েছে বাঘিনী। কলার আইডি-তে শেষ অবস্থান রাইকার জঙ্গলেই, খবর বন দফতর সূত্রে। রাইকা জঙ্গল এবং রাহামদা গ্রামের মাঝে পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়েছে। টোপ হিসেবে রাখা হয়েছে মুরগি এবং ছাগল। এখনও টোপে ধরা দেয়নি বাঘিনী। রাইকা জঙ্গলেই রয়েছে বাঘিনী। বন দফতর সূত্রে খবর, কলার আইডির মাধ্য়মে তার শেষ অবস্থান সেখানেই দেখা গেছে। খিদের জ্বালায় টিকতে না পেরে কবে সে এগিয়ে আসে টোপের দিকে, কবে সে ধরা দেয় ফাঁদে, তারই অপেক্ষায় বনকর্মীরা। গতকাল পুরুলিয়ার রাইকা জঙ্গল এবং রাহামদা গ্রামের মাঝে পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়। খাঁচাগুলিতে মুরগি এবং ছাগল টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল। যদিও সে টোপে ধরা দেয়নি বাঘিনী। তবে সন্ধের দিকে রাইকা জঙ্গলের পিছনে একটি জলাশয়ে জল খেতে আসে।
বাঘিনীক বাগে আনতে খাঁচা পাতা হয়েছে। ঘুম পাড়ানি গুলি নিয়ে তৈরি বনদফতরের ট্রানকুলাইজার টিম। কিন্তু দেখা নেই রয়্যাল বেঙ্গলের। বিগত দু'দিন ধরে মোটামুটি একই জায়গাতে রয়েছে বাঘিনী, জানিয়েছে বনদফতর। জঙ্গল সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে। ওখানেই পাতা রয়েছে খাঁচা। তার কাছাকাছি গেলেও ফাঁদে পা দেয়নি।
আরও পড়ুন- উধাও হবে শীত ? বাড়বে দিনের তাপমাত্রা ? বর্ষশেষের সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।