সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া : বাঘিনীর খোঁজ নেই এখনও। দিন পেরিয়ে রাত তবুও অধরা বাঘিনী যমুনা। বাঘিনীকে ফাঁদে ফেলতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুয়োর। বন দফতরের সব চেষ্টাযই বিফল যাচ্ছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের রাইকা এবং কেশরা জঙ্গলে বাঘিনীকে ধরতে কার্যত ঘোল খেতে হচ্ছে বন ফতরের কর্মীদের। বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। এলাকায় ১৫টি জায়গায় মোতায়েন রয়েছেন বনকর্মীরা।
ওড়িশার সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনী এখনও বাগে আসেনি। চারদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও যমুনা রীতিমতো নাস্তানাবুদ করছে বন দফতরের কর্মীদের। টোপ ফেললেও সেই ফাঁদে পা দেয়নি যমুনা। সকালে তার অবস্থান পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে কুইলাপাল বিটে কেশরার জঙ্গলে। গতকাল বান্দোয়ানের কায়রো পাহাড়ে ছিল পলাতক বাঘিনী। আজ যমুনা হাঁটা দিয়েছে চিরুডির জঙ্গলের দিকে। বন দফতর সূত্রে খবর, গতকাল ঘাটশিলার দিকে রওনা দিয়েও ফের বান্দোয়ানে ফিরে আসে যমুনা।
এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা। পুরুলিয়া বনবিভাগ, উড়িষ্যার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্টের বিশেষ দল এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের থেকে আসা বিশেষ টিম একত্রিত হয়ে বাঘিনীকে বাগে আনতে মরিয়া। তবুও অধরা বাঘিনী। বন দফতরের শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুরুলিয়া বান্দোয়ান থানার রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে রয়েছে ওই বাঘিনী। বন দফতরের পক্ষ থেকে জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শুকোর, ছাগল এবং গবাদি পশুদের দিয়ে ফাঁদ পাতা হলেও সেই ফাঁদে পা দেয়নি যমুনা। বাঘিনীকে খাঁচাবন্দি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন বিভাগকে। গ্রামে গ্রামে মাইকিংয়ের মাধ্যমে চলছে সতর্কতা প্রচার। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে বনকর্মীরা।
প্রায় ২ সপ্তাহ আগে ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে উধাও হয় দুই বাঘিনী, জিনাত ও যমুনা। গলায় পরানো রেডিও কলারের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডে জিনাতের খোঁজ মেলে। যমুনা পাড়ি দিয়েছিল বাংলায়। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির শিমুলপালে কটাচুয়ার জঙ্গলে তার গতিবিধি টের পান বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু রাতেই অবস্থান বদলে ফেলে বাঘিনী। ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছয় কাঁকড়াঝোড়ের ময়ূরঝর্নার জঙ্গলে। শনিবার জুজুরধারা গ্রামের কাছে বাঘিনীর নড়াচড়া টের পেলেও তাকে দেখা যায়নি। রবিবার সকালে যমুনার সন্ধান মেলে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে রাইকা-র জঙ্গলে।
আরও পড়ুন- সব্যসাচী দত্তই আড়াল করছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর সমরেশকে ! গুরুতর অভিযোগ আক্রান্ত প্রোমোটারের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।