হিন্দোল দে, তিলজলা: তিলজলায় (Tiljala) সাবান (Soap) তৈরির কারখানায় ট্যাঙ্কারে পড়ে মৃত্যু ২ শ্রমিকের । অয়েলের ট্যাঙ্কারে লেভেল মাপতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু। ট্যাঙ্কার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা দমকলের (Fire Engine) ।
ঠিক কী হয়েছে?
তিলজলা থানার অন্তর্গত ৭ নম্বর তিলজলা রোডে একটি ট্যাঙ্কারে নিম ওলের লেভেল মাপতে গিয়ে একজন শ্রমিক ট্যাংকারের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও একজন শ্রমিক সেও পড়ে যায়। ট্যাংকারের মধ্যে দুজনেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনা তদন্তে তিল তলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে।
কিছুদিন আগে তিলজলায় ছাপা কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল বাবা ও ছেলের। ১৫ বছর বয়সী আরেক ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিত্তরঞ্জন ন্য়াশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তপসিয়ার আজাদ মহল্লার ওই কারখানায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে প্রিন্টিংয়ের কাজ হত। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে। কাজের জন্য রাতে কারখানাতেই ছিলেন মহম্মদ নাসিম আখতার ও তাঁর দুই ছেলে। ঝলসে মৃত্যু হয় নাসিম ও তাঁর বড় ছেলে বছর ২৬-এর মহম্মদ আমিরের। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, দমকলের দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কারখানায় আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
একটি তিনতলা বাড়ির নীচের তলায় থাকা ছাপাখানায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সহ অন্যান্য জিনিস ছাপা হত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের কাঁচামাল মজুত থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুনের লেলিহান শিখা প্রায় পৌঁছে যায় ওপরের তলাতেও। গলে যায় বিল্ডিংয়ের বাইরের পাইপ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুন, "গদ্দারদের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে আমাকে, মাথা ঝোঁকাতে তৈরি নই", হুঙ্কার মমতার
স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। সেই সময়, কোনও মতে ছাপাখানার শাটার তুলে বেরিয়ে আসে এক অগ্নিদগ্ধ কিশোর। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। জানা যায়, ভেতরে আটকে আছেন তার বাবা ও দাদা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চেষ্টা করেও তাঁদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দেরি করে এসেছে দমকল। যদিও তা অস্বীকার করেছেন দমকল আধিকারিক।