সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : শুরু হয়ে গেছে ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের শহিদ দিবসের চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্ব। জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। ধর্মতলায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। এরই মধ্যে আদালতে দায়ের হল ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা। 


কী প্রেক্ষাপটে মামলা 
করোনাকালে ২ বছর বন্ধ থাকার পরে এবার ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ উপলক্ষ্যে প্রবল ভিড় ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে যথোপযুক্ত ব্যবস্থাও। তবে এই বছরও রাজ্যে রয়েছে করোনার প্রকোপ। ইদানীং কালে লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীর দাবি, ‘গত ২ বারের মতোই এবারও ভার্চুয়ালি হোক ২১ শে জুলাইয়ের সভা। নচেত কড়া গাইডলাইন মেনে হোক সভা’ । আদালতে এই আর্জি জানানো হয়েছে । এরপরই  আদালতের রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘এই সভার অনুমতি দেওয়া হয়ে গিয়েছে, কোভিড গাইডলাইন মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে’

এই মামলায় শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। 

আরও পড়ুন :


২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশের প্রচারের জন্য রাস্তায় নামল সুসজ্জিত ট্রাম


বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই। মাঝে আর মাত্র ১ দিন। তাই তৃণমূলের তৎপরতাও তুঙ্গে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের ( Kalighat ) বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রড নিয়ে, সাত ঘণ্টা ঘাপটি মেরে বসে থাকার পর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও, প্রশ্নের মুখে পড়েছে নিরাপত্তা!


করোনার কারণে ২ বছর ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। এবার সমাবেশের আয়োজন। তাই জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সাজো সাজো রব । কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল এগোবে ধর্মতলার দিকে। শহরের পথ সচল রাখতে, মিছিলের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রুট। বিগত বছরের ছবিগুলো বলছে, উত্তর কলকাতার সবচেয়ে বড় মিছিলটি বেরোয়, শ্যামবাজারের ৫ মাথার মোড় থেকে। শ্যামবাজার থেকে বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে সভাস্থলে পৌঁছবে মিছিল। দক্ষিণ কলকাতার সবচেয়ে বড় মিছিলটি বেরোবে হাজরা মোড় থেকে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, এটিএম রোড, জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে সভাস্থলে পৌঁছবে এই মিছিল। দূরবর্তী জেলার তৃণমূল কর্মীরা, যাঁরা হাওড়া স্টেশন হয়ে আসবেন, তাঁরা হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড, কিংসওয়ে, রেড রোড, মেয়ো রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে মূলত পৌঁছবেন সভাস্থলে। শহরজুড়ে ১০টি জোন ভাগ করা হয়েছে নিরাপত্তাবেষ্টনী। প্রতি জোনে কমপক্ষে ৫টি করে পুলিশ পিকেট থাকবে।