কলকাতা: ‘সাংসদ কী বলবে তা ঠিক করবে সংসদ? তাহলে নির্বাচন করে লাভ কী ?’ বুধবার ‘অসংসদীয় শব্দ' প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এমনটাই মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ দিন তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনেও মানুষ এতটা পরাধীন ছিল না। বিরোধীদের কাজ প্রতিবাদ জানানো। সাংসদ কী বলবে তা ঠিক করবে সংসদ? তাহলে নির্বাচন করে লাভ কী ? ‘তাহলে সংসদ ভবন রেখে লাভ কী? নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তির মত দেশ চালানো হচ্ছে।’ ‘অসংসদীয় শব্দ’ প্র সঙ্গে অভিষেক ক্ষোভ উগড়ে বলেন, ‘স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র, দাম্ভিকতার পরিচয় কেন্দ্রের’


লোকসভা এবং রাজ্যসভায়, সাংসদদের মুখে লাগাম পরানোর পথে হেঁটেছে মোদি সরকার। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের রেকর্ড দাম থেকে অগ্নিবীর প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক। মহারাষ্ট্রে বিরোধী সরকারের পতন থেকে রাহুল গান্ধীকে ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়েছে মোদি সরকার।


এই প্রেক্ষাপটে ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। যেখানে বিরোধীরা এসব ইস্যুতে একযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবে বলেই মনে করছিলেন অনেকে। আর এমন সময়েই লোকসভার সচিবালয় একগুচ্ছ অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করল। যাকে সাংসদদের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা।


‘অসংসদীয় শব্দের’ এই তালিকায় রয়েছে, 



  • জুমলাজীবী

  • অপরিণতমনস্ক

  • দুর্নীতিগ্রস্ত

  • নাটক

  • দ্বিচারিতা

  • অযোগ্য

  • নৈরাজ্যবাদী

  • একনায়কতন্ত্র

  • একনায়ক

  • বিশ্বাসঘাতক

  • চোরের মায়ের বড় গলা

  • শকুনি

  • বিনাশ পুরুষ

  • রক্তের চাষ

  • স্নুপগেট

  • কোভিড স্প্রেডার

  • দু’মুখো চরিত্র

  • নিষ্কর্মা

  • নাটুকে

  • ঢাক পেটানো

  • বধির সরকারের


লোকসভার সচিবালয়ের প্রকাশ করা তালিকা অনুযায়ী, সংসদের ভিতরে উপরিক্ত সমস্ত শব্দ অসংসদীয় বলে গণ্য হবে। আর এই প্রসঙ্গেই মোদি সরকারের বিরোধিতায় এ দিন সুর চড়িয়েছেন অভিষেক।